নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগস্ট।। সুপারি চাষ বর্তমানে খুবই লাভজনক চাষ। রাজ্যের টিলা সমতল সব জায়গাতেই সুপারি চাষ করা যায়। রাজ্যের মাটি সুপারি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ পানের সাথে সুপারি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। বর্তমানে সুপারি চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে চাষিরা সুপারি চাষ করে থাকেন। ত্রিপুরার মাটি সুপারি চাষে খুবই উপযোগী। ত্রিপুরার পাহাড়ি অঞ্চল অর্থাৎ উঁচু জায়গা সুপারি বাগানের জন্য খুবই উপযোগী। তাই রাজ্যের পাহাড় সমতল সব জায়গাতে বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সুপারি চাষ এর চিত্র। এই সুপারি চাষে এগিয়ে এসে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক বেকার যুবক যুবতীরা।
নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলছেন। এমনই একটি চিত্র লক্ষ্য করা গেল আমবাসা মহকুমাধীন খগেন্দ্র রোয়াজা পাড়াতে। এই পাড়ার এক জনজাতি যুবক দেবমোহন ত্রিপুরা স্বউদ্যোগে নিজের বাড়ির পাশে টিলা ভূমিতে গড়ে তুলেন সুপারি বাগান। বাজার থেকে চারা ক্রয় করে এই বাগানটি গড়ে তুলেন। এই বাগানটিতে একশ কুড়িটি সুপারির চারা লাগিয়েছিলেন। বর্তমানে প্রায় ৮৫ টি সুপারির চারা রয়েছে বাগানে। তিনি জানান সরকারি সাহায্য হিসেবে রাবার বাগান পেয়েছিলেন। কিন্তু নিজস্ব জায়গা না থাকায় তিনি রাবার বাগান করতে পারেননি। তাই তিনি বাজার থেকে সুপারির চারা কিনে নিজ বাড়ির পাশে গড়ে তুলেন একটি সুপারি বাগান।সুপারী চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হবেন বলে আশাবাদী। সুপারি লাভজনক চাষ হওয়ায় অন্যান্যদেরকেও সুপারি চাষে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।