নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই (হি. স.): নভজ্যোৎ সিং সিধুকে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করা হল। শনিবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল নাটকের ক্লাইম্যাক্স। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা ছিল। রবিবার সেই কাজটাও সেরে ফেলল কংগ্রেস।
রবিবার হাইকমান্ডের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল, পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেন নভজ্যোত সিং সিধু। সিধুর পাশাপাশি আরও চার জনকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়েছে রবিবার। তাঁরা হলেন সঙ্গত সিংহ গিলজিয়ান, সুখবিন্দর সিংহ ড্যানি, পবন গোয়েল এবং কুজিত সিংহ নাগরা।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ঘরোয়া বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে হস্তক্ষেপ করতে হয় হাইকমান্ডকে। কৃষক আন্দোলন, এনডিএতে ভাঙনের মধ্যে যে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ফায়দা তোলার জন্য পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপরতা শুরু হয়। সেইসঙ্গে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, আগামী বছর পুরনো ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বেই ভোটের ময়দানে নামবে কংগ্রেস। সিধুও যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবেন, তা কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল। যদিও প্রথম থেকেই সিধুকে পঞ্জাবে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বসানোর বিরোধিতা করে আসছিলেন অমরিন্দর। নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন। দাবি করেন, ‘সিধুকে সভাপতি করলে কংগ্রেসকে ভুগতে হবে।’
পরে অবশ্য সুর নরম করেন অমরিন্দর। শনিবার পঞ্জাবে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকের পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মাথা মেনে নিতে প্রস্তুত। তারইমধ্যে ‘পথ নির্দেশনার’ জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল ঝাকারের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সিধু। তা থেকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, এতদিন হাওয়ায় যে খবর ভাসছিল, তা সত্যি হতে চলেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে চলেছেন সিধু।