ধর্মনগর, ১৭ জুলাই : উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের হুরুয়া এলাকা থেকে গাড়িসহ এক নেশা কারবারিকে আটক করেছে ধর্মনগর থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি বলে নেশা কারবারের মূল নায়ককে আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর জেলার ধর্মনগরে কুখ্যাত নেশাকারবাড়ির বাড়ি থেকে পাইকারী দরে ব্রাউন সুগার ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেএক যুবক। একাংশ যুবক ব্রাউন সুগার হেরোইনের মত মরন নেশার ফাঁদে পড়ে তাদের জীবন ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ড্রাগসের নেশায় আসক্ত হয়ে পরবর্তীতে ড্রাগস পাচার এবং ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে কিছু উঠতি বয়েসের যুবক যুবতীরা। নেশায় আসক্তদের হাতিয়ার করেই রাঘব বোয়ালেরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করে চলেছে। একমাত্র মুনাফা অর্জনের লক্ষেই ড্রাগস মাফিয়ারা শতশত যুবক যুবতীদের জীবন ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। পুলিশ কিছু নেশা কারবারিদেরকে আটক করলেও এই নেশার সাম্রাজ্য কিছুতেই রুখতে পারছে না । উত্তর জেলাতেও কয়েকশ যুবক এই নেশার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন তার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশ মাঝে মাঝে কিছু পাচারকারিদের আটক করেই তাদের দায়িত্ব খালাস বলে মনে করছে।
কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে আগামীদিনে যুব সমাজের বড় একটা অংশ যে এই নেশার ফাঁদে পা দেবে না তা কেউই বলতে পারবে না। সংবাদে প্রকাশ শনিবার সকালে ধর্মনগর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হুরুয়া এলাকা থেকে ধাওয়া করে একটি লাল রঙ্গের টিআর০৫ডি০৪৬৭ নম্বরের গাড়ি সহ গাড়ি চালক রাসেল হুসেনকে আটক করে পুলিশ। গাড়িটিতে তল্লাশী করতেই বেরিয়ে আসে আনুমানিক ১০০টি ব্রাউন সুগারের কৌটো। রাসেল হুসেন এবং গাড়িটিকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই রাসেল হুসেন ধর্মনগর থানার পুলিশকে জানায় সে এই ব্রাউন সুগার গুলো ধর্মনগর সঞ্জয় কলোনি এলাকার কুখ্যাত ড্রাগস কারবারী পিংকাইর বাড়ি থেকে ক্রয় করে তার বাড়ি কদমতলা থানাধীন ফুলবাড়ির উদ্যেশে যাচ্ছিল। পিংকাই নামের এই কুখ্যাত নেশা কারবারি যুবকের বাড়িতে এর আগেও একাধিকবার পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাকে আটক করতে পারেনি। পুলিশের কাছে এই পিংকাই নামটি পরিচিত। কারন দীর্ঘদিন ধরেই পিংকাই ড্রাগসের ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ধৃত রাসেল হুসেনের কথা শুনে সাথে সাথেই ধর্মনগর থানার পুলিশ সঞ্জয় কলোনি এলাকায় পিংকাই’র বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের অভিযানের আগেই পিংকাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখন দেখার এই কুখ্যাত গ্রাগস কারবারি পিংকাইকে পুলিশ গ্রফতার করতে সক্ষম হয় কি না। নেশার কবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করার দাবি উঠেছে।