সাহায্য প্রত্যাশীদের চিকিৎসা সহায়তা, ভাতা, চলন সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ ডিসেম্বর:
মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সাহায্য প্রত্যাশীদের সাথে আজও সরাসরি কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। এই কর্মসূচির আজ ৬০তম পর্বে অধিকাংশ সাহায্য প্রত্যাশীগণ চিকিৎসাজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তা চেয়ে আর্জি জানান। তেলিয়ামুড়ার ইচারবিলের দিলীপ দাস তার অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদাসের ছেলের চিকিৎসার কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন। অমরপুর পূর্ব মালবাসার হেলেন চঙ থানপুরি জটিল রোগে অসুস্থ তার ৮ বছরের কন্যার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইলে মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে তার কন্যার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সহায়তার পাশাপাশি ভাতার ব্যবস্থারও আশ্বাস দেন। ধলাই জেলার ধুমাছড়ার দীপক বড়ুয়া তার কন্যার চিকিৎসার সাহায্যের আর্জি জানালে মুখ্যমন্ত্রী তার কন্যার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

কন্যার চিকিৎসার জন্য সিপাহিজলার পুরাখল রাজনগরের সাহিদ মিয়া, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডম্বুরনগরের অঞ্জন সেন, ধলেশ্বরের বিশ্বজিৎ কর্মকার এবং হাঁপানিয়ার রামগোপাল শীল, ছেলের চিকিৎসার জন্য চাঁদিনামুড়ার কেশব দেব এবং ব্রহ্মাকুন্ডের সীমা মালাকার প্রত্যেকেই তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জনা মুখ্যমন্ত্রীর নিকট সাহায্যের আর্জি জানান। মুখ্যমন্ত্রী জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারের সাথে কথা বলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আড়ালিয়া ঋষিপাড়ার নকুল ঋষিদাস দুর্ঘটনায় আহত হয়ে একটি পা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এবং বর্তমানে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তার সংসার প্রতিপালনে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালে মুখ্যমন্ত্রী তার চলাচলের সুবিধার জন্য চলন সামগ্রী ব্যবস্থার পাশাপাশি তাঁর ছেলের লেখাপড়ার সুবিধার্থে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। এদিন ক্যান্সার আক্রান্ত মেলাঘরের বিপ্লব চক্রবর্তী এসেছিলেন চিকিৎসার সাহায্যের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

আজকের মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা দেবাশ্রি দেববর্মা, জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. বিধান গোস্বামী, অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শিরমনি দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply