পাটনা, ২৯ ডিসেম্বর : বিহার সরকার নাগরিকদের সরাসরি নীতি তৈরি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে “সাত নিস্চয়-৩” উদ্যোগের অধীনে। এই উদ্যোগটির মূল লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করা, সম্মান বৃদ্ধি করা এবং সবার জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করা। সরকার আশা করছে, নাগরিকদের প্রতিদিনের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলির দিকে মনোযোগ দিয়ে কার্যকর সমাধান বের করা হবে।
“সাত নিস্চয়-৩” প্রকল্পের আওতায়, বিশেষ করে “নিস্চয়-৭” বা “সম্মান এবং সহজ জীবনযাত্রা” শীর্ষক বিষয়ে নাগরিকদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে, যেখানে তারা কেবল সুবিধাভোগী নয়, বরং নীতি তৈরির প্রক্রিয়ার অংশীদার হিসেবে কাজ করবেন।
এই উদ্যোগের মধ্যে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে: প্রবীণ নাগরিকদের এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সার্টিফিকেট হোম ডেলিভারি, হোম নার্সিং এবং প্রবীণদের যত্নের সহায়তা, শহর ও গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ এবং সহজলভ্য পথচারী পথের ব্যবস্থা, হাসপাতালগুলোতে মানবিক, দ্রুত এবং সহানুভূতিশীল চিকিৎসাসেবা।
সরকারি কর্মকর্তারা এটিকে একটি “ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক পরীক্ষামূলক প্রকল্প” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা নাগরিকদের একত্রিত করার পাশাপাশি তাদের জন্য উন্নত মানের জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এই উদ্যোগটি বিহারকে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে, যেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও জীবনযাত্রার মানের উন্নতির উপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নাগরিকরা ৪ জানুয়ারি, ২০২৬ এর মধ্যে অনলাইনে কিউআর কোডের মাধ্যমে বা পোস্টের মাধ্যমে তাদের মতামত পাঠাতে পারবেন। মতামত পাঠানোর ঠিকানা: অতিরিক্ত সচিব, ৪ দেশরত্ন মার্গ, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়, পাটনা – ৮০০০০১।
সমস্ত প্রস্তাবনা পর্যালোচনার পর, একটি পর্যায়ক্রমিক কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে, যা বাস্তবসম্মত সমাধানগুলির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। সরকারের মতে, এই উদ্যোগটি এমন এক শাসন মডেল প্রতিস্থাপন করবে যেখানে জনগণের দৈনন্দিন জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে।
ডিসেম্বর মাসে, নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন বিহার মন্ত্রিসভা “সাত নিস্চয়-৩” অনুমোদন দিয়েছে, যা ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের জন্য কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এক্স মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন, যেখানে রাজ্যের আয় এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সরকারের রোডম্যাপ তুলে ধরা হয়েছে।

