তীব্র জনআন্দোলনের মুখে প্রসেনজিৎ সরকার কাণ্ডে পুলিশের বড় সাফল্য, করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার তিন মূল অভিযুক্ত, পলাতক আরও দু’জন

ধর্মনগর, ১৮ ডিসেম্বর : প্রসেনজিৎ সরকার মৃত্যুকাণ্ডে অবশেষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল উত্তর জেলার পুলিশ প্রশাসন। সাধারণ মানুষের টানা আন্দোলন ও প্রবল জনচাপের মুখে বুধবার গভীর রাতে আসামের করিমগঞ্জ এলাকা থেকে মামলার তিন মূল অভিযুক্ত সুস্মিতা ভট্টাচার্য, সংগীতা ভট্টাচার্য ও সৌরভ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও দু’জন অভিযুক্ত এখনও পলাতক থাকায় তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে করিমগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ধৃতদের উত্তর জেলার আদালতে তোলা হলে আদালত চত্বরে শতাধিক সাধারণ মানুষের ভিড় জমে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আদালতের নির্দেশে তিন অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে জেল কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময়ও জনতার তীক্ষ্ণ নজরদারি ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলনে অংশ নেওয়া নাগরিকদের দাবি ছিল প্রসেনজিৎ সরকারের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রসেনজিৎ সরকার মৃত্যুকাণ্ড ঘিরে এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে পুলিশের এই সাফল্যকে আন্দোলনকারীরা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক বাকি দুই অভিযুক্তকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং খুব শীঘ্রই তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি মামলার তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে এই মৃত্যুকাণ্ডের সমস্ত দিক উন্মোচিত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এদিকে, আজ অভিযুক্তদের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত মামলার অভিযুক্তদের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ চাইলে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানান সরকারি আইনজীবী। এদিন তিনি আরও বলেন, মামলা নম্বর ১২২ ধর্মনগর ২০২৫ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারায় মামলা রুজু করেছে।

Leave a Reply