বায়ু দূষণ সংকটে দিল্লিতে ৫০% কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’

নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর : তীব্র বায়ুদূষণের প্রেক্ষিতে জরুরি দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসেবে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি)-এর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপ কার্যকর করেছে দিল্লি সরকার। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করা হয়েছে।

দিল্লির শ্রমমন্ত্রী কপিল মিশ্র জানান, প্রতিদিনের যাতায়াত কমিয়ে যানবাহনজনিত দূষণ হ্রাস করাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। তবে এই বিধিনিষেধে বহু মানুষের জীবিকা প্রভাবিত হচ্ছে বলে স্বীকার করে মন্ত্রী জানান, কাজ হারানো নির্মাণশ্রমিকদের জন্য সরকার ১০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে।

তিনি বলেন, গত ১৬ দিন ধরে জিআরএপি-এর তৃতীয় ধাপ কার্যকর থাকার ফলে বিভিন্ন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে বহু শ্রমিক আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপন বিভাগ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত অত্যাবশ্যক পরিষেবায় নিযুক্ত কর্মীরা এই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকবেন। মন্ত্রী আরও বলেন, জিআরএপি-এর চতুর্থ ধাপ যতদিন কার্যকর থাকবে, ততদিনের জন্যও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই সুবিধা সরকারি ভাবে নথিভুক্ত শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে। নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া এখনও চলছে।

এদিকে, দূষণ ইস্যুতে আন্দোলন করায় আম আদমি পার্টি-এর তীব্র সমালোচনা করেন শ্রম মন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, আম আদমি পার্টি এই সংকটকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ওদের মুখ্যমন্ত্রী আগে এই সময়ে শহর ছেড়ে পালাতেন, কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। ৩০ বছরের পুরোনো সমস্যা পাঁচ মাসে সমাধান করা সম্ভব নয়।

Leave a Reply