নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর : সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘লোহপুরুষ’ হিসেবে খ্যাত সর্দার প্যাটেলকে জাতি গঠনের এক মহান স্থপতি হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর অতুলনীয় অবদান কৃতজ্ঞ জাতি কোনোদিন ভুলবে না।
এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতের লোহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। তিনি সারা জীবন দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী ভারত গঠনে তাঁর অতুলনীয় অবদান কৃতজ্ঞ জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।”
১৮৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর জন্মগ্রহণকারী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ভারতের জাতীয় সংহতির প্রধান রূপকার হিসেবে তিনি সুপরিচিত। আধুনিক ভারতীয় সিভিল সার্ভিস—বিশেষত ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা (আইএএস)—গঠনের ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল সর্দার প্যাটেলের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা, লোহপুরুষের অবদান চিরস্মরণীয় বলে বার্তা প্রধানমন্ত্রীরঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সর্দার প্যাটেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এক্স-এ এক বার্তায় তিনি লেখেন, “জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, শক্তিশালী ভারতের স্থপতি লোহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলজির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।”
অমিত শাহ আরও বলেন, “অসংখ্য প্রতিকূলতার মধ্যেও সর্দার সাহেব বিচ্ছিন্ন স্বাধীন ভারতকে এক শক্তিশালী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছিলেন। দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাতৃভূমির সুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠাকেই তিনি জীবনের লক্ষ্য করেছিলেন। সমবায় আন্দোলনের পুনর্জাগরণ এবং নারী ও কৃষকদের স্বনির্ভরতার মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারতের ভিত্তি স্থাপন করে তিনি আজও ‘নেশন ফার্স্ট’-এর পথে আমাদের পথপ্রদর্শক।”
মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সর্দার প্যাটেল স্বাধীনতা আন্দোলনে খেড়া সত্যাগ্রহ, ভারত ছাড়ো আন্দোলনসহ একাধিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা ও শক্তিশালী বক্তৃতাশৈলী তাঁকে সমকালীন রাজনীতিতে এক অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।
এদিকে, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে—যা ‘রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে—কেন্দ্র সরকার বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির ঘোষণা করেছে। এই উদ্যাপনের মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইউনিটি রান এবং লোহপুরুষ সর্দার প্যাটেলের জাতীয় ঐক্যের বার্তা ও উত্তরাধিকার তুলে ধরতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

