কল্যানপুর, ১৪ ডিসেম্বর: শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই সবুজে মোড়া মাঠ যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে কল্যাণপুরে। কৃষি নির্ভর তেলিয়ামুড়া মহকুমার এই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই জমি জুড়ে ফুলে উঠেছে শীতকালীন সবজির অন্যতম প্রতিনিধি — ফুলকপি। খোয়াই নদী সংলগ্ন কুচপাড়া এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষকরা এখন ব্যস্ত তাদের চাষের ফল তোলার কাজে। চাষিদের মতে, বছরের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে হলেও বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বাজারেও ফলনের দাম আশানুরূপ। এখন পাইকারি দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি।
কৃষকরা বলছেন, এই দাম যদি কিছুদিন স্থিতিশীল থাকে, তবে পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য তাঁরা পেয়ে যাবেন। স্থানীয় কৃষক বিমল দেবনাথ বলেন, “প্রথম দিকে অতিবৃষ্টিতে অনেক চারাগাছ নষ্ট হয়েছিল, কিন্তু এবার আবহাওয়া ঠিক থাকায় ফলন ভালো হচ্ছে। বাজারেও দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে, তাই মনটা খুশি।” কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খোয়াই নদীর তীরবর্তী জমির পলিমাটি ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
বর্ষার শেষে এই জমিগুলিতে উৎপাদিত ফসল রাজ্যের অন্যান্য এলাকার তুলনায় আগে বাজারে আসে। এটাই কল্যাণপুরের কৃষির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, মৌসুমের শুরুতে বাজারে ফুলকপির যোগান সীমিত থাকায় দাম কিছুটা বেশি, তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দামও কমে আসবে। সবমিলিয়ে শীতের শুরুতেই কল্যাণপুরের কৃষকদের মাঠে ফুলকপি চাষ যেন নতুন সম্ভাবনার বার্তা বয়ে এনেছে — প্রকৃতির অনুকূলে পরিশ্রমের এই সবুজ জয়গান আজ কৃষকদের মুখে ফুটিয়ে তুলেছে তৃপ্তির হাসি।

