আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর: রাজ্যে নেশা কারবার লাগামছাড়া ভাবে বেড়ে চলেছে। নেশার রমরমা বাণিজ্য চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়, অথচ সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আসলে বর্তমান শাসকদল বিজেপি একটা নির্লজ্জ ও বেহায়া সরকার। আজ সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির উদ্যোগে ২১ তম রাজ্য সম্মেলনে এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা
জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, রাজ্যে নেশার রমরমা বাণিজ্য চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়, অথচ সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি দাবি করেন, আগে নেশা ধরা পড়ত ২–৪টি বোতল। আর এখন বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যে ওয়াগন ভর্তি করে নেশার সামগ্রী ঢুকছে।
বর্তমান শাসকদল বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই, শৃঙ্খলা নেই, আইনের শাসন নেই। এই পরিস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবেই যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য নেশা কারবারকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে যুবসমাজকে নেশার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সরকার চাইলে এই কারবার বন্ধ করা সম্ভব, কিন্তু তাদের কোনও ইচ্ছাশক্তি নেই।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলে জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, রাজ্যে যেসব নেশা কারবারি ধরা পড়ছে, তাদের অর্ধেকেরও বেশি শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা ধরা পড়ছে, তাদের অর্ধেকের বেশি রাজীব ভট্টাচার্য, সুনীল দেওধর এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে ছবি রয়েছে। কেন এমন হচ্ছে? এই সম্পর্কের ব্যাখ্যা সরকারকে দিতে হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নেশা কারবারের সঙ্গে যুক্ত বড় মাথাদের আড়াল করা হচ্ছে এবং শুধুমাত্র ছোটখাটো কারবারিদের গ্রেফতার দেখিয়ে দায় সারা হচ্ছে। এই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা।
জীতেন্দ্র চৌধুরী স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে রাজ্যে নেশা বিরোধী কঠোর অভিযান শুরু না হলে বিরোধী দল বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী, অল ইন্ডিয়া জেনারেল সেক্রেটারি মরিয়ম ধাওয়ালে সহ সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির রাজ্য ও জাতীয় স্তরের একাধিক নেতৃত্ব।

