নয়া দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ লোকসভায় ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ব্রিটিশরা যখন ভারত বিভক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল, তখন ‘বন্দে মাতরম’ জাতীয় সংগীত একতায় রূপান্তরিত হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা জানতো যে ১৮৫৭ সালের পর ভারতের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। তারা বুঝেছিল যে ভারতকে বিভক্ত করে এবং জনগণকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াতে বাধ্য করে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তাই তারা ‘বিভাগ এবং শাসন’ নীতি গ্রহণ করেছিল, এবং এ কাজের জন্য তারা বঙ্গকে একটি পরীক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রিটিশরা জানতো, যদি তারা বঙ্গকে ভেঙে দিতে পারে, তবে পুরো দেশকে ভেঙে দিতে পারবে। তবে সেই সময়ে, বঙ্গ থেকেই উঠে আসা ‘বন্দে মাতরম’ তাদের জন্য এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এটি দেশের জন্য একতার সংকেত হয়ে উঠেছিল।”
তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা বাধ্য হয়েছিল ‘বন্দে মাতরম’ নিষিদ্ধ করতে এবং এ কবিতার মুদ্রণ ও প্রচার বন্ধ করতে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছিল।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “‘বন্দে মাতরম’ এমন একটি সময়ে লেখা হয়েছিল যখন ব্রিটিশ শাসকরা ভারতীয় পরিবারগুলোর উপর ‘গড সেভ দ্য কুইন’ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবে ‘বন্দে মাতরম’ কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য একটি মন্ত্র ছিল না; এটি ভারতমাতাকে উপনিবেশবাদ থেকে মুক্ত করার একটি পবিত্র যুদ্ধধ্বনি ছিল।”
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসকে তীব্র সমালোচনা করেন এবং বলেন, “যখন ‘বন্দে মাতরম’ শতবর্ষ পূর্ণ করেছিল, তখন সংবিধান গলিত হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে জরুরি অবস্থার সময়ে।”
এদিন পার্লামেন্টে ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১০ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা।

