শ্রীনগর, ৫ ডিসেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি শুক্রবার শ্রীনগর ও গান্দেরবাল জেলায় একাধিক স্থানে তল্লাশি চালায়। চিকিৎসকদের জড়িত একটি বড় সন্ত্রাস মডিউলের তদন্তের অংশ হিসেবেই এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক এই সন্ত্রাস মডিউল উন্মোচনের পর কিছু চিকিৎসকের নাম সামনে আসে। সেই সূত্র ধরেই এসআইএ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে। ব্যাটামালু এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়, যেখান থেকে আগেই এক অভিযুক্ত তুফাইল আহমদ ভাট, পিতা নিয়াজ আহমদ ভাটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।ওয়াকুরা গান্দেরবাল এলাকাতেও তল্লাশি অভিযান চলছে। ২২ নভেম্বর ডিয়ারওয়ানি ব্যাটামালুতে তুফাইলকে আটক করেছিল এসআইএ।
সম্প্রতি জেএন্ডকে পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের সমন্বিত অভিযানে ফারিদাবাদে ডাক্তারদের নেতৃত্বে একটি বড়সড় সন্ত্রাস মডিউল ভেঙে ফেলা হয়। জেইশ-ই-মোহাম্মদ–এর দুই ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার গ্রেফতারের সূত্র ধরে কুলগামের কাজিগুন্ডের ডাঃ আদিল রাথরকে আটক করা হয়। আনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে তাঁর লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়। ২০২৪ সালে তিনি ওই কলেজের চাকরি ছেড়ে দেন।
ডাঃ আদিলের জিজ্ঞাসাবাদে আরও এক চিকিৎসক—পুলওয়ামার কয়েল গ্রামের ডাঃ মুজাম্মিল রাথর—এর নাম উঠে আসে। পরে তাকে ফারিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ভাড়া বাসা থেকে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
এই মডিউলের অন্য সদস্য ডাঃ উমর নবি পালিয়ে যান এবং ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরকবাহী গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৩ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেন, বহু মানুষ আহত হন। লখনউয়ের ডাঃ শাহীনা সাঈদকেও এই হোয়াইট কলার সন্ত্রাস নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফারিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন এই সকল ডাক্তাররা। পরে কুলগামের কাজিগুন্ডের স্থানীয় ডাক্তার উমর ফারুক ও তাঁর স্ত্রী শাহজাদা আখতারকেও যুব সমাজকে উগ্রবাদে প্ররোচিত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
শাহজাদা আখতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি ২০১৮ সালে প্রধান আসিয়া অন্দ্রাবির গ্রেফতারের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া মহিলা সন্ত্রাস সংগঠন ‘দুখতারান-এ-মিলাত’ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছিলেন।

