আগরতলা, ২৮নভেম্বর: শুক্রবার ১১দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক নারী সমিতি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু জেলা শাসক না থাকায় অতিরিক্ত জেলা শাসকের নিকট তারা তাদের দাবী সনদ তুলে দেয়।
এদিন ডেপুটেশনে নারী নেত্রীরা জানান, বর্তমান ভারতবর্ষে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা শোষণের হাতিয়াতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে নারীরা এই ঋনচক্রে ভয়ঙ্করভাবে জড়িয়ে পড়ছেন। এমএফআই এবং নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি ২১-২৬ শতাংশ কিংবা আরো বেশি সুদে দরিদ্র পরিবারকে ঋন দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যবস্থার লাগাম টানা প্রয়োজন। হতদরিদ্র গরীব মানুষকে বাঁচাতে আরবিআই, কেন্দ্রিয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। নিম্নোক্ত দাবি নিয়ে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি ১১ দফা দাবি তুলে ধরে।
তাদের দাবি গুলি হল, সুদ নিয়ন্ত্রণ ও সীমাবদ্ধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। আত্মহত্যা ও সম্পত্তি হারানো পরিবারগুলিকে আর্মিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য তহবিল গঠন করতে হবে।অবিবাহিত ও মহিলা প্রধান পরিবারকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে। সরকারী ব্যাঙ্কের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সিবিল রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা যাবেনা।
নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি এবং এম এফ আই যে হারে ঋনগ্রহিতার উপর সুদ চাপিয়ে দিচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। ঋণগ্রহীতাদের প্রতি কোনরকম জবরদস্তি বা হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করতে হবে।জনধন অ্যাকাউন্টধারীকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার অধিকার দিতে হবে। আধার ও ঠিকানা যাচাই করে জামানত ছাড়াই ব্যানিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ দেওয়ার বিশেষ স্কীম চালু করতে হবে। কোভিড চলাকালীন ঋণগ্রস্ত পরিবারকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অমান্য করা চলবে না। গরীব শ্রমজীবি ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলি থেকে বিপিএল কার্ড তুলে নেয়া চলবে না।

