আগরতলা, ২৭ নভেম্বর : বিভাজনের রাজনীতির কারণে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের জনজাতি সম্প্রদায় আজ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন কৌশলে জনজাতিদের আলাদা করে রাখা হয়েছে, আর এটাই আজ সমস্যার মূল। মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তিপরা মথা আয়োজিত মহাসমাবেশে এমনই কঠোর ভাষায় নাম না করে কেন্দ্রের প্রতি আক্রমণ শানালেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তাঁর দাবি, ওয়ান নর্থ ইস্ট’-এর মূল লক্ষ্যই হলো সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে এনে সম্মিলিতভাবে নিজের অধিকার আদায় করা।
কনরাড সাংমা বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন বলেই আজ বিভিন্ন জনজাতি তাদের পরিচয় ধরে রাখতে পেরেছে। তাদের সংগ্রামের ফলেই আমরা অনেক ক্ষেত্রে উন্নতির পথে এগিয়েছি। কিন্তু বর্তমানে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। আজকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিভাজন। যা আমাদের শক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
তাঁর কথায়, পৃথকভাবে কাজ করলে জনজাতিদের কণ্ঠস্বর নির্বাক হয়ে যায়।একতা ছাড়া আমাদের দাবিগুলো গুরুত্ব পায় না। তাই ‘ওয়ান নর্থ ইস্ট’-এর মূল লক্ষ্যই হলো সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে এনে সম্মিলিতভাবে নিজের অধিকার আদায় করা।
তাঁর দাবি, এই লড়াই কারও বিরুদ্ধে নয়। আমরা কাউকে লক্ষ্য করে কিছু করছি না; এটি নিছক ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা। ওয়ান নর্থ ইস্ট মঞ্চের মাধ্যমে আমরা বহুদিনের আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে চাই।
তিনি নাম না করে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে বলেন, বিভাজনের রাজনীতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেই জনজাতিদের শক্তি দুর্বল করা হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করা হয়েছে। কারণ আমাদের একতাই সবচেয়ে বড় শক্তি। দেশ ও সমাজ গঠন সম্ভব একতা দিয়েই। তাই পুনরায় একজোট হয়ে এই মঞ্চের মাধ্যমে আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
শেষে কনরাড সাংমা আশা প্রকাশ করেন, ওয়ান নর্থ ইস্ট আগামী দিনে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন ও জনজাতিদের সামগ্রিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

