জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো জনজাতিদের যথাযথ মূল্য দেয় না, তাঁরা আঞ্চলিক দলগুলোকে মুছে ফেলতে চায়: প্রদ্যোত

আগরতলা, ২৭ নভেম্বর: জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো জনজাতিদের যথাযথ মূল্য দেয় না। বহু আঞ্চলিক দল লোভ বা স্বার্থের কারণে জাতীয় দলের সঙ্গে জোটে সামিল হলেও পরে পরিকল্পিতভাবে সেই আঞ্চলিক দলগুলোকে মুছে ফেলে। তাই, আইপিএফটির উচিত তিপরা মথার সঙ্গে একজোট হয়ে জনজাতি স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে অংশ নেওয়া। আজ তিপরা মথার জনসমাবেশে এমনটাই বললেন মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দের্ববমণ।

এদিন প্রদ্যোত কিশোর দের্ববমণ বলেন, আগরতলায় জনসমাবেশ আয়োজন করতে গিয়ে নানাবিধ প্রশাসনিক বাধা ও জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আগরতলায় নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করতে পারলেও তাঁদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করা হয়। তবুও এদিনের জনসমাবেশে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের বিপুল সমাগমে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সভামঞ্চ থেকে প্রদ্যোত দাবি করেন, বর্তমানে জনজাতিদের আর্থিক অবস্থা সংকটময় হলেও লড়াই করার শক্তি ও সাহস তাঁদের রয়েছে। আজ জনজাতিদের হাতে টাকা নেই, কিন্তু আত্মবিশ্বাস আছে। নর্থ ইস্ট মঞ্চ আজ জনজাতিদের হাতে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। একদিন অবশ্যই গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবির বাস্তবায়ন হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো জনজাতিদের যথাযথ মূল্য দেয় না। তাঁর মতে, বহু আঞ্চলিক দল লোভ বা স্বার্থের বশে জাতীয় দলের সঙ্গে জোট বাঁধে, কিন্তু পরবর্তীতে সেই আঞ্চলিক দলগুলোকে রাজনৈতিকভাবে বিলীন করে দেওয়া হয়।

এই প্রেক্ষিতে প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মণ স্পষ্টতই আইপিএফটি-কে জোটে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আইপিএফটির উচিত তিপরা মথার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা। বুবাগ্রার সঙ্গে শক্তি এক করলে তবেই জনজাতি স্বার্থ রক্ষা সম্ভব। একা লড়াই করলে শিব সেনা, অসম গণ পরিষদ, বোডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট বা বিভিন্ন রাজ্যের অন্যান্য আঞ্চলিক দলের মতো মুছে যেতে হবে, বলে দাবি করেন তিনি।

তাই অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নর্থ ইস্ট মঞ্চের মাধ্যমে জনজাতিদের একত্রে আওয়াজ তুলতে হবে। কারণ, একতাই শক্তি।