নয়াদিল্লি, ২১ নভেম্বর: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নির্বাচিত রচনাবলির ১০০ খণ্ডের ডিজিটাইজেশন সম্পূর্ণ হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার বলেন, নেহরুর লেখা শুধু ইতিহাস নয়, ভারতের বিবেকের ক্রমবিবর্তনেরও প্রতিচ্ছবি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, নেহরুর লেখাগুলি শুধু ইতিহাস নয়, তারা ভারতের বিবেকের বিকাশমান রেকর্ড। আমাদের গণতান্ত্রিক যাত্রার সাহস, সংশয়, স্বপ্ন—সবকিছু বোঝার জন্য তাঁর বক্তব্য আজও এক শক্তিশালী পথনির্দেশক। তিনি আরও বলেন, এই ঐতিহ্য এখন উন্মুক্ত, অনুসন্ধানযোগ্য এবং সবার জন্য বিনামূল্যে উপলব্ধ হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও এক্স-এ লেখেন, তথ্য তথ্যই থাকে—আপনার পছন্দ-অপছন্দে তা পালিয়ে যায় না। তিনি জানান, নেহরু সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত বিকৃতি ও ভ্রান্তির যুগে তাঁর রচনাবলিকে ডিজিটাইজ করা সত্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাড়গে “দ্য নেহরু আর্কাইভ” চালু হওয়াকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেন।
নেহরু আর্কাইভের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি নেহরুর লেখা, ভাষণ, নথি, দৃশ্য-শ্রাব্য উপাদান সংরক্ষণের জন্য গড়ে ওঠা একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি। ১৯০৩ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত সময়কালের নির্বাচিত রচনাবলির ১০০ খণ্ড ইতিমধ্যেই আপলোড করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে অনুসন্ধানযোগ্য এবং বিনামূল্যে ডাউনলোডযোগ্য।
জেএনএমএফ জানিয়েছে, নেহরুর পুরো ১০০ খণ্ডের রচনাবলি এখন ডিজিটালভাবে উন্মুক্ত। মূল গ্রন্থগুলোর প্রতিলিপি ও ডিজিটাল পাঠ পাশাপাশি রাখা হয়েছে। ১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর হিন্দি ভাষণের মূল রূপ ও ইংরেজি অনুবাদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোট ৩৫,০০০ নথি ও প্রায় ৩,000 আলোকচিত্র এতে রয়েছে।
সংস্থার সচিব অধ্যাপক মাধবন পালাট বলেন, ১৯২০ থেকে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় ইতিহাসের যেকোনো দিক নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে এই অনলাইন আর্কাইভ অমূল্য সম্পদ হবে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে আরও ছবি, অডিও, ভিডিও, নেহরুর অন্যান্য বই, তাঁর জীবৎকালে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ এবং পাবলিক ডোমেইনে থাকা অন্যান্য নথি ধাপে ধাপে যোগ করা হবে।

