টিআরটিসির অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ বাড়ছে, কৈলাসহরে বন্ধ বাস পরিষেবা

আগরতলা, ২০ নভেম্বর: টিআরটিসির চরম অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে কৈলাসহরে জনমনে ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ১৯৮৮ সালে নির্মিত কৈলাসহর টিআরটিসি অফিস ভবনটি গত ৩৭ বছরে একদিনও সংস্কার না হওয়ায় আজ কার্যত জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের দেয়াল ভেঙে পড়ছে, চারপাশ জুড়ে আগাছার জঙ্গল—যা সরকারি সম্পত্তির প্রতি চরম উদাসীনতার পরিচায়ক।

এদিকে গত বারো দিন ধরে কৈলাসহর–ধর্মনগর রুটে এবং সাত দিন ধরে কৈলাসহর–কুমারঘাট স্টেশন রুটে টিআরটিসি বাস পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যেখানে ভাড়া ছিল মাত্র ৩০ টাকা, সেখানে এখন বেসরকারি গাড়িতে ৬০–৭০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

অফিস প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়—বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে দুটি বাস, আর পিছনের দিকে আগাছায় ঢেকে রয়েছে আরও একটি বড় বাস, যা তিন–চার মাস ধরে অকেজো অবস্থায় আছে। কুমারঘাট রুটের বাসটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং অতিরিক্ত তেল-মবিল খরচের কারণে চালকরা রাস্তায় নামতে অনীহা প্রকাশ করছেন। বড় বাসটিও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অফিস ইনচার্জ কৃষ্ণচরণ দেববর্মা দীর্ঘ ছুটিতে থাকার পর ফের চিকিৎসার জন্য বাইরে—ফলে তদারকির অভাব প্রকট। ইঞ্জিনিয়ার আগরতলায় গিয়ে মেরামতের কাগজপত্র জমা দিলেও বাস কবে মেরামত হবে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট সময়সীমা নেই। যাত্রী রয়েছে, চাহিদা রয়েছে—তবুও পরিষেবা নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নীরবতা ও টিআরটিসির নিষ্ক্রিয়তার কারণে বাস পরিষেবা ইচ্ছাকৃতভাবেই মৃতপ্রায় করে দেওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষের দাবি—অবিলম্বে রুটগুলিতে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক করা হোক এবং টিআরটিসির ভিতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হোক।