কৈলাসহর, ১৮ নভেম্বর: ঠিকাদারী কাজকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা এবার ছড়িয়ে পড়ল কৈলাসহরের উত্তরাঞ্চলের ব্যস্তস্থল টিলাবাজারে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরপরই হঠাৎ দুই ঠিকাদার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, মুহূর্তে থমথমে হয়ে ওঠে পুরো বাজার এলাকা। মূলত ঠিকাদারি বাণিজ্যকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বর্তমানে কৈলাশহরে ঠিকাদারী কাজকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুটি টেন্ডার প্রকাশ হয়েছে। তাতে মোট ৭ জন অংশগ্রহন করেছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী অন্যান্যদের টেন্ডার উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। এদিন লাঠিয়াপাড়া এলাকার কয়েকজন ঠিকাদার এবং ইরানি এলাকার কিছু ঠিকাদার মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে মারধর ও ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ায় আহত হন একাধিক ব্যক্তি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠী এদিন টিলাবাজার এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের এই সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন স্থানীয় বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ীরা। একটি লাল রঙের গাড়িতে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মুহূর্তেই গোটা এলাকায় ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত গোষ্ঠী বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষের মাঝে দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন বলেও দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ইরানি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং কয়েকজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বাজারে ভাঙচুর হওয়া লাল গাড়িটি জব্দ করে তল্লাশি চালানো হলে অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যদিও পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। জানা গেছে দুই গোষ্ঠীর আহতদের মধ্যে হান্নান মিয়া, লিটন মিয়া, শাফাত আলী রয়েছেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাজার কমিটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাইরে থেকে দুই গোষ্ঠী এসে শান্ত টিলাবাজারের পরিবেশ নষ্ট করেছে। তাদের দাবি—যারা বাজারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে, পুলিশের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ, পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

