নিউইয়র্ক, ১৫ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবস্থিত ভারতীয় মিশনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের নিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো মহাবাণিজ্যদূতদের এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। মূলত ভারত–মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সংযোগ এবং বিভিন্ন কনস্যুলেটের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতেই এই সভার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবারের এই বৈঠকে ওয়াশিংটন ডিসি–র ভারতীয় দূতাবাস ছাড়াও নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, শিকাগো, অ্যাটলান্টা, হিউস্টন, বোস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং সিয়াটল–এর কনস্যুলেটগুলির জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা অংশ নেন। বৈঠক শেষে এক্স–এ জয়শঙ্কর লিখেছেন, “নিউইয়র্কে মহাবাণিজ্যদূতদের সম্মেলনের সভাপতিত্ব করলাম। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি ও প্রবাসী ভারতীয় কার্যক্রমে সমর্থনের পর্যালোচনা করেছি। ভারত–মার্কিন অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করতে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলির প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।”
সভায় যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কোয়াত্রাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার জয়শঙ্কর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেসের সঙ্গে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, বহুপক্ষবাদ এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকের পরে তিনি এক্স–এ পোস্ট করে জানান যে, “বর্তমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা, বহুপক্ষবাদ ও বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে গুটেরেসের মূল্যায়নকে গুরুত্ব দিচ্ছি।”
নিউইয়র্কে পৌঁছানোর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর কানাডা সফর করেন, যেখানে তিনি জি৭ বিদেশমন্ত্রিদের বৈঠকে যোগ দেন এবং বহু দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গেও বৈঠক করেন। জয়শঙ্কর এক্স–এ জানান, “জি৭ বৈঠকে মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল। দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সরবরাহ শৃঙ্খলা ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এবং ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে মতবিনিময় করেছি।”
রুবিও–জয়শঙ্কর বৈঠকটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

