এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন মন্তব্য: দক্ষ বিদেশী কর্মীদের প্রশিক্ষণের উপর জোর

ওয়াশিংটন, ১৩ নভেম্বর : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসা প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা অনেকেই তার প্রশাসনের অভিবাসন নীতিতে কিছুটা শিথিলতা দেখানোর চেষ্টা হিসেবে দেখেছিলেন। তবে, এবার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন যে, এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষ বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আমেরিকায় আসতে দেয়া, যাতে তারা মার্কিন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন, শুধুমাত্র তাদের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নয়।

একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্পের মন্তব্যের পেছনে মূল লক্ষ্য হচ্ছে “জ্ঞান স্থানান্তর”। তার মতে, বিদেশী কর্মীরা আমেরিকান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তিন থেকে সাত বছরের জন্য আমেরিকায় আসবেন এবং পরে তারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন, যাতে আমেরিকান কর্মীরা পুরোপুরি কাজগুলো দখল করতে পারেন। বেসেন্ট বলেন, “আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, বিদেশী কর্মীরা এখানে আসবে, কিছু সময় ধরে আমেরিকান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং পরে তারা তাদের দেশে ফিরে যাবে।”

এই মন্তব্যের আগে, ট্রাম্প একটি সাক্ষাৎকারে দক্ষ অভিবাসী কর্মীদের সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, “আমেরিকার আরও বেশি দক্ষ কর্মী দরকার, যারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।” একই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, “আমেরিকানরা কিছু বিশেষ দক্ষতা রাখতে পারে না, এবং এজন্য মানুষকে শেখার প্রয়োজন।”

বেসেন্ট আরও বলেন, “আমেরিকানরা এখন এই কাজগুলো করতে পারবেন না, কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় জাহাজ নির্মাণ বা সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করি না। বিদেশী কর্মীরা আমেরিকানদের শেখাবে, তারপর তারা দেশে ফিরে যাবে, এটা আসলে একটি দারুণ পরিকল্পনা।”

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছেন, “আমেরিকা দীর্ঘ সময় বেকার থাকা লোকদেরকে প্রযুক্তিগত কাজের জন্য প্রস্তুত করতে পারে না, বিশেষত নির্মাণ বা প্রতিরক্ষা খাতে।” যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এইচ-১বি ভিসা সীমাবদ্ধতা তার প্রশাসনের জন্য বড় কোনো অগ্রাধিকার নয়, ট্রাম্প তখন বলেন, “আমরা অবশ্যই বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনতে হবে।”

এছাড়া, ট্রাম্প আরো বলেন, “আমেরিকা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রতিভাধর কিনা তা প্রশ্ন করলে তিনি সোজা বলেন, ‘না, আপনি নেই। আপনি কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা পাননি, এবং আপনি… মানুষকে শিখতে হবে।'”

এভাবে, ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষ বিদেশী কর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মার্কিন কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তবে একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।