বনধে পরোক্ষে সরকারের নৈতিক সমর্থন ছিল: মানিক সরকার

আগরতলা, ২৪ অক্টোবর:
বনধে পরোক্ষে সরকারের নৈতিক সমর্থন ছিল, পরে বেকায়দায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি অফিস উদ্বোধনে গিয়ে বনধের বিরোধিতা করেছেন। বিজেপি এই বনধের বিরুদ্ধে কোন কথাই বলেনি। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

তিনি বলেন, এটি একটি উস্কানিমূলক ঘটনা। অ-উপজাতি অর্থাৎ বাঙ্গালীদের কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশী হিসেবে অন্য দেশে পাঠাবে এটি হতে পারে না। এটি কোন রাজনৈতিক দলের কাজ নয়, এটি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাজ। কোন একটি রাজনৈতিক দল ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের স্লোগান তুলতে পারেন না। মূলত জাতি উপজাতি উভয় ক্ষেত্রেই বিজেপি এবং তিপ্রা মথা সমর্থন হারাচ্ছেন। তারা বুঝতে পারছেন মানুষ অন্য চিন্তা-ভাবনা করছে। তাই এই মুহূর্তে সকলের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই বনধের আহবান। এর মাধ্যমে আরও বড় ধরনের গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শান্তির বাজারে দোকানপাট খোলা রাখাকে হাতিয়ার করেই একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

তিনি আরো বলেন, বাম জামানায় এবং বর্তমানেও বামফ্রন্টেরা বনধের আহবান করেন। সেক্ষেত্রেও কিছু দোকানপাট খোলা থাকে, কিছু যানবাহন চলাচল করে। এটা সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার, তারা বনধকে সমর্থন করবেন কিনা এটা তাদের বিষয়। সে ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট কোনদিন কারো ওপর হামলা করেনি। কিন্তু বনধকে বয়কট করায় এ ধরনের সন্ত্রাস নিন্দনীয়। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন তিনি।