বনধের জেরে হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেওয়া হল চিকিৎসককে, বাইকের চাবি খুলে নিল অবরোধকারীরা, পুলিশ নীরব দর্শক

আগরতলা, ২৩ অক্টোবর:
অরাজনৈতিক মঞ্চ ও নাগরিক সমাজের ডাকা ২৪ ঘন্টার বনধের জেরে আন্দোলনকারীদের দ্বারা হাসপাতালে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হলেন একজন চিকিৎসক। পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারীরা চিকিৎসকের বাইকের চাবি খুলে নেন। সম্পূর্ণ ঘটনা নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন পুলিশের আধিকারিকগণ। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের পক্ষে থেকে চিকিৎসককেই ফিরিয়ে দিল পুলিশ। নিরুপায় হয়ে নিজের যাত্রাপথ পরিবর্তন করলেন ঐ চিকিৎসক। গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, প্রতিদিনকার মতো আজ সকালেও নিজের কর্মস্থান টিএমসি মেডিকেল কলেজে যাচ্ছিলেন চিকিৎসক অভিষেক দত্ত। তখনই রাজধানীর উত্তর গেট এলাকায় তাকে আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। তিনি চিকিৎসক, জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও তাকে কোনোভাবেই যেতে দেয়নি আন্দোলনকারীরা। চিকিৎসককে অন্য রাস্তা বেছে নেওয়ার জন্য বলেন অবরোধকারীরা। চিকিৎসক জানান, তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার তাড়া রয়েছে, তাই তাকে এই রাস্তাতেই যেতে হবে। কিন্তু চিকিৎসকের কোন কথাই শুনতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। চিকিৎসক অভিষেক দত্ত রাস্তা পরিবর্তন করতে না চাইলে চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। এক সময় পুলিশের সামনেই চিকিৎসকের বাইকের চাবি খুলে নেন অবরোধকারীরা। গোটা ঘটনাটি পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশকে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এমনকি অনৈতিকভাবে চিকিৎসকের বাইকের চাবি খুলে নেওয়ার পরেও পুলিশ চিকিৎসককে ঘুরে যেতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে পুলিশের সামনেই এমন ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফে বনধের দিন সরকারি সহ সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত সমস্ত অফিস পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও একই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও সরকারি নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ট দেখে এক প্রকার অবরোধকারীদের পক্ষেই ভূমিকা নিতে দেখা যায় পুলিশকে। জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে অবরোধকারীদের এ ধরনের আচরণে বনধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধুমাত্র চিকিৎসকই নয়, শহরের ব্যস্ততম রাস্তা, উত্তর গেট ধরে আসা সকল জনগণকেই এদিন পুলিশ আটকে দিয়েছে। তাদের অন্য রাস্তা ধরে যাতায়াত করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।