নয়াদিল্লি, ২১ অক্টোবর: আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং তাঁর নেতৃত্বে গঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ অমিত শাহ লেখেন, “আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবসে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও আইএনএ-এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা। আজাদ হিন্দ ফৌজের মাধ্যমে নেতাজি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে এই বিশ্বাস দৃঢ় করেছিলেন যে নিজেদের সেনাবাহিনী ও সামরিক শক্তির মাধ্যমে ভারতবাসী স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এই সেনানীরা চিরকাল ‘রাষ্ট্রপ্রথম’-এর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।”
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লেখেন, “ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে আজাদ হিন্দ ফৌজ এক গৌরবময় অধ্যায়। এই দিনে আমি মা ভারতীর বীর সন্তানদের চরণে কোটি কোটি প্রণাম জানাই। তাঁদের সাহস, ত্যাগ, শৌর্য এবং দেশপ্রেম আমাদের হৃদয়ে চিরকাল অমর আলোকরেখা হয়ে থাকবে।”
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ লেখেন, “আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস কেবল একটি সংগঠনের জন্মদিন নয়, বরং সেই আগুনের স্মরণ যা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার সাহস দিয়েছিল। এই দিনে নেতাজি ও বীর সেনানীদের প্রতি শত-শত নতমস্তক শ্রদ্ধা।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা লিখেছেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের গর্বিত অধ্যায় আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবসে মাতৃভূমির জন্য আত্মবলিদান করা সকল বীর শহিদদের প্রতি আমার কোটিশঃ প্রণাম। নেতাজির নেতৃত্বে এই ফৌজের সাহস ও আত্মত্যাগ প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেশপ্রেমের শিখা জ্বালিয়ে রাখবে।”
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি লেখেন, “আজাদ হিন্দ ফৌজ কেবল স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অধ্যায় নয়, বরং ভারতীয় সৈনিকদের একতাবদ্ধ করে জাতিকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁদের ত্যাগ সর্বদা আমাদের মনে দেশসেবার আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে রাখবে।”
উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালে নেতাজির নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। এই দিনটি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক গর্বিত এবং অনুপ্রেরণামূলক মুহূর্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
———

