পাটনা, ২০ অক্টোবর : মহাগঠবন্ধনের অভ্যন্তরীণ আসন বণ্টন নিয়ে চলা টানাপোড়েনের মধ্যেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১৪৩ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। সোমবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আরজেডি নেতৃত্ব।
আরজেডি নেতা ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবারও বৈশালী জেলার রাঘোপুর আসন থেকেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ভোট হবে যথাক্রমে ৬ ও ১১ নভেম্বর, আর ভোটগণনা ও ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর।
২০২০ সালের নির্বাচনে আরজেডি লড়েছিল ১৪৪টি আসনে। এবারের তালিকায় তা এক কমিয়ে ১৪৩ আসনে নেমে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—চন্দ্রশেখর (মধেপুরা), বীনা দেবী (মোকামা, সুরভানের স্ত্রী) এবং উদয় নারায়ণ চৌধুরী (ঝাঝা)।
জোটের ভিতরে আসন বণ্টন নিয়ে অচলাবস্থার কারণেই এতদিন তালিকা প্রকাশ করেনি আরজেডি। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার আগেই দল তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করেছিল বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, কংগ্রেসও সোমবার রাতে প্রকাশ করেছে আরও ৬ প্রার্থীর নাম, যার ফলে দলটির মোট প্রার্থীসংখ্যা দাঁড়াল ৬০। কংগ্রেসের সর্বশেষ তালিকায় রয়েছেন — সুরেন্দ্র প্রসাদ কুশওয়াহা (বল্মিকীনগর), আবিদুর রহমান (আরারিয়া), জলিল মস্তান (আমৌর), তৌকির আলম (বরাড়ি), প্রবীণ সিং কুশওয়াহা (কাহালগাঁও) এবং বিনোদ চৌধুরী (সিকান্দরা, তফসিলি আসন)।
এর আগে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস তাদের প্রথম তালিকায় ৪৮ প্রার্থী ঘোষণা করেছিল, যার মধ্যে ছিলেন রাজ্য সভাপতি রাজেশ রাম (কুটুম্বা) ও বিধানসভা দলনেতা শাকিল আহমেদ খান (কাদওয়া)। শুক্রবার ঘোষণা করা হয় ঋষি মিশ্র (জালে)-র নাম, আর শনিবার প্রকাশিত হয় আরও পাঁচ প্রার্থীর তালিকা।
তবে দুই দলই প্রার্থীদের হাতে নির্বাচনী প্রতীক তুলে দেওয়া শুরু করেছে, যা জোটের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আসন বণ্টনে অনৈক্যের জেরে মহাগঠবন্ধনের ঐক্যে ফাটল দেখা দিচ্ছে। অসন্তুষ্ট নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, টিকিট বণ্টন “বিক্রির মতো প্রক্রিয়া” হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্বের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবারই শেষ হচ্ছে। এর মধ্যেই মহাগঠবন্ধনের এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা।

