ব্রাসিলিয়া/নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর: আসন্ন সিওপি৩০ জলবায়ু সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রি-সিওপি৩০ বৈঠকে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, প্যারিস চুক্তির কাঠামোর প্রতি ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে, ভবিষ্যতের জলবায়ু মূল্যায়নে সুষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় দেশটি।
প্রি-সিওপি৩০-এর গ্লোবাল স্টকটেক (জিএসটি) ব্রেকআউট সেশনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, “প্রথম গ্লোবাল স্টকটেকের সফল সমাপ্তি প্রমাণ করে, প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন আন্তরিকতার সঙ্গেই হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, জিএসটি প্রতি পাঁচ বছরে একবার করা হয়, যাতে বৈশ্বিকভাবে জলবায়ু লক্ষ্যপূরণে অগ্রগতি মূল্যায়ন করা যায়। এই প্রক্রিয়া দেশের মধ্যে ও আন্তর্জাতিক স্তরে জলবায়ু কর্মপরিকল্পনাকে আরও মজবুত করতে সহায়তা করে, বলেন যাদব।
মন্ত্রী বলেন, “জিএসটি প্যারিস চুক্তির চালিকাশক্তি। এটি রাজনৈতিক সদিচ্ছা জাগিয়ে তোলে এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু পদক্ষেপের পথ প্রশস্ত করে।”
ভবিষ্যতের জিএসটি প্রক্রিয়া নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নগুলোকে তাড়াহুড়ো করে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এগুলোর বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আগে পর্যাপ্ত আলোচনা প্রয়োজন।” তিনি বৈজ্ঞানিক তথ্যের নির্ভুলতা ও বৈচিত্রময় উৎসের গুরুত্বর কথাও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, “এখন আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু পদক্ষেপের বাস্তবায়নের ওপর। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় বাধা হল উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে পর্যাপ্ত সম্পদের অভাব।”
তিনি সাফ জানান, “শুধু আলোচনা করে চললে হবে না, এখন সময় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার। বারবার মূল্যায়ন নয়, বাস্তবায়নই জরুরি।”
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত হবে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলন। তারই প্রস্তুতিসভা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রি-কপ৩০ বৈঠক বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও আলোচকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

