নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর : গতকাল রাতে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হয় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূলত আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা এবং নির্বাচনী কৌশল চূড়ান্ত করা হয়। এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন এনডিএ ইতোমধ্যেই আসন বণ্টনের রূপরেখা প্রকাশ করেছে।
আসন সমঝোতা অনুযায়ী, বিজেপি ও জনতা দল (ইউনাইটেড) বা জেডিইউ উভয় দল ১০১টি করে আসনে লড়বে। লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) পাবে ২৯টি আসন, আর রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা ও হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৬টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এনডিএ-র এই আসন বণ্টনের মাধ্যমে জোটের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এনডিএ-র মুখোমুখি হতে চলেছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট , যার নেতৃত্বে রয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল । জোটে আরও রয়েছে কংগ্রেস, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, সিপিআই, সিপিএম এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি। তবে এখনো পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোটের আসন বণ্টনের চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি। সূত্রের খবর, আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন ভাগ নিয়ে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই দফায় ২০ জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। মনোনয়ন জমার শেষ দিন ২০ অক্টোবর, স্ক্রুটিনি হবে ২১ অক্টোবর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে। নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, সীতামারহি, শেওহার, মধুবনী, সুপাত, আরারিয়া, কিষণগঞ্জ, পুর্নিয়া, কাঠিহার, ভাগলপুর, বাঁকা, জমুই, নওয়াদা, গয়া, ঔরঙ্গাবাদ, জেহানাবাদ, অরওয়াল, কৈমুর ও রোহতাস জেলায়। মোট ৭.৪২ কোটি ভোটার এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রথম দফার ভোট হবে ৬ নভেম্বর এবং উভয় দফার ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। নির্বাচনী লড়াইয়ে কে এগিয়ে থাকে, তা নির্ধারণ হবে ভোটের ফলাফলে।

