আগরতলা, ৮ অক্টোবর : ছড়ার জল থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ঘটনায় বুধবার দুপুরে কৈলাসহরের ধনবিলাশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পরিবারের সদসয়দের দাবি, মৃত ব্যক্তি বিগত কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এদিকে, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে ধনবিলাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশ্বরাজ সিনহা জানান যে, তাঁর কাকা ৬৫ বছরের বিন্দু মাধব সিনহা লক্ষ্মী পুজোর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন সম্ভবত কাকা পাশ্ববর্তী ডলুগাঁও এলাকায় এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। কিন্তু বুধবার হঠাৎ করে ধনবিলাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ড এলাকার বিলাশছড়ার জলে এক মৃতদেহ গ্রামবাসীরা দেখতে পান। এখবর শোনে পরিবারের সবাই এসে মৃতদেহ দেখে নিশ্চিত হন যে, মৃতদেহ বিন্দু মাধব সিনহার। ৬৫ বছরের বিন্দু মাধব সিনহা বিগত কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক বছর পূর্বে বিন্দু মাধব সিনহাকে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু, বিন্দু মাধব সিনহা হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে চলে আসেন বলেও জানান মৃত বিন্দু মাধব সিনহার ভাতিজা বিশ্ব রাজ সিনহা।
তিনি আরও বলেন, বিন্দু মাধব সিনহা সাঁতার জানতেন না এবং বিন্দু মাধব সিনহার ডান হাত ভাঙ্গা ছিলো বলেও জানান। বিন্দু মাধব সিনহা অবিবাহিত ছিলেন। প্রতিদিন নিজের ঘর বাড়ি ভাঙ্গতেন এবং আবার নিজের ঘর তৈরি করতেন বলেও জানান বিশ্ব রাজ।
এব্যাপারে কৈলাসহর থানার পুলিশ অফিসার কিঙ্কর পাল জানান যে, বিলাশছড়ার জলে মৃতদেহ পাওয়ার খবর শোনে ঘটনাস্থলে আসেন এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কিভাবে এবং কি কারনে মারা গেছে তা এখনও নিশ্চিত হয়নি পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে বলে পুলিশ অফিসার কিঙ্কর পাল জানান।

