বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন: এনডিএ-র আসন বণ্টনের রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত, জেডিইউ পেতে পারে ১০২, বিজেপি ১০১ আসন

পটনা, ২৪ সেপ্টেম্বর: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এনডিএ (জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট)-র আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রায় চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছেছে বিজেপি ও জনতা দল (ইউনাইটেড)। সূত্রের খবর, বিজেপি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ আসন বণ্টনের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে চলেছে।

জানা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে জেডিইউ ১০২টি আসনে এবং বিজেপি ১০১টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে। এই সংখ্যার পেছনে নীতীশ কুমারের স্পষ্ট দাবি কাজ করেছে—”বিজেপির চেয়ে অন্তত একটি আসন বেশি চাই।” অন্যদিকে, চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) সম্ভবত ২০টি আসনে লড়াই করবে বলে সূত্রের দাবি।

২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় এই বণ্টন কিছুটা পরিবর্তিত। তখন জেডিইউ ১১৫টি এবং বিজেপি ১১০টি আসনে লড়েছিল। এছাড়া ছোট মিত্রদলগুলোর মধ্যে জিতন রাম মাঁঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা পেয়েছিল ৭টি আসন এবং মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টি পেয়েছিল ১১টি।

এদিকে, লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “সম্মানজনক” আসন সংখ্যা ছাড়া তারা কোনওভাবেই মেনে নেবেন না, যদিও কত আসন হলে তা সম্মানজনক হবে, তা স্পষ্ট করেননি। বিজেপি সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাসওয়ান ৪০টি আসনের দাবি তুলেছেন, কিন্তু এনডিএ সম্ভবত ২০টির বেশি ছাড়তে প্রস্তুত নয়।

এই আসন বণ্টন প্রক্রিয়া ফের প্রমাণ করছে যে, এনডিএ-র বিহার কৌশলে জেডিইউ-বিজেপি জোট এখনও কেন্দ্রীয় শক্তি হিসেবে কাজ করছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মাঝেমধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও, রাজ্যের নির্বাচনী অঙ্কে একে অপরের বিকল্প নয় বিজেপি ও জেডিইউ।

এনডিএ-র প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিজেপি আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর বিহারের সব জেলার নেতাদের নিয়ে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে। বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ জৈসওয়াল সংগঠনের অভ্যন্তরীণ অবস্থান বুঝে নেবেন এবং কোন আসনগুলি ছোট দলগুলো ছাড়তে রাজি নয়, সে সম্পর্কেও ধারণা নেবেন।

সরকারি স্তরে এনডিএ শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টনের আলোচনা শুরু হবে অক্টোবর ৩-এর পর। সূত্রের দাবি, প্রথমে বড় দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হবে, তারপর ছোট শরিকদের নিয়ে আলোচনা হবে।