প্রাক্তন দিল্লি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের সম্পদ ৭.৪৪ কোটি টাকা মূল্যের আটক, ইডি’র পদক্ষেপ

নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর: প্রাক্তন দিল্লি মন্ত্রী ও সাধারণ নাগরিক পার্টির নেতা সত্যেন্দ্র কুমার জৈনের নামে সংযুক্ত কোম্পানির সম্পদ যার মূল্য ৭.৪৪ কোটি টাকা, তা দমনমূলক অর্থলগ্নি প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর আওতায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরেট শুক্রবার আটক করেছে।

ইডি’র এই অর্থপাচারের তদন্তের সূত্রপাত হয় ২০১৭ সালে সিবিআইয়ের মামলা থেকে, যেখানে অভিযোগ আনা হয়, জৈন ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মে মাসের মধ্যে দিল্লির আসন্ন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ সঞ্চয় করেছেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিবিআই জৈন, তার স্ত্রী পুনম জৈন এবং অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করে।

২০২২ সালের মার্চে এই মামলায় ইতিমধ্যেই ৪.৮১ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ আটক করেছিল ইডি এবং মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করেছিল, যা দিল্লি হাইকোর্ট পরবর্তীতে স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ এই পদক্ষেপের ফলে মোট আটককৃত সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.২৫ কোটি টাকায়, যা ইডির দাবি অনুযায়ী জৈন অসাংঘাতিক সম্পদের সম্পূর্ণ মূল্য।

ইডি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে দেশব্যাপী নোট বাতিলের পর সত্যেন্দ্র জৈনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অঙ্কুশ জৈন ও বৈভব জৈন ‘ইনকাম ডিসক্লোজার স্কিম’ (IDS)-এর আওতায় ৭.৪৪ কোটি টাকা নগদ আয়কর হিসাবে জমা দিয়েছিলেন। তারা চারটি কোম্পানির নামে ১৬.৫৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় সত্যেন্দ্র জৈনের নিয়ন্ত্রণাধীন বেনামী সম্পদ।

আয়কর বিভাগ ও দিল্লি হাইকোর্ট এই সহযোগীদের বেনামী হোল্ডার হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা সুপ্রিম কোর্টও তাদের আপিল নাকচ করে নিশ্চিত করেছে। এরপর ইডি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন সিবিআইকে জানায় এবং সিবিআই মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সম্পূরক চার্জশিট দায়ের করে।

এখন পর্যন্ত এই মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে, যা থেকে স্পষ্ট যে ভারতের অর্থনৈতিক অপরাধ দমনে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে।