প্রধানমন্ত্রী মোদির অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা সফর: উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ৫,১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের

নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর — প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সোমবার অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি দুই রাজ্যে মিলিয়ে ৫,১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরে প্রধানমন্ত্রী দুটি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন— হেও হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প (২৪০ মেগাওয়াট) ও তাটো-I হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প (১৮৬ মেগাওয়াট)। সিয়োম সাব-বেসিন এলাকায় অবস্থিত এই প্রকল্পদুটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,৭০০ কোটি টাকারও বেশি। এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তাওয়াং-এ প্রধানমন্ত্রী একটি আধুনিক কনভেনশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯,৮২০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত হবে। ১,৫০০ জন প্রতিনিধি ধারণক্ষম এই সেন্টারটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সাংস্কৃতিক উৎসব ও প্রদর্শনীর আয়োজনের উপযুক্ত কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

এছাড়া, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১,২৯০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, অগ্নিনির্বাপক সেবা, কর্মরত মহিলাদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ প্রভৃতি। উন্নয়নের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় করদাতা, ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক জিএসটি হারের সংস্কার নিয়ে মতবিনিময় করবেন।

ত্রিপুরা সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি গোমতি জেলার উদয়পুর শহরে অবস্থিত মাতাবাড়ি মন্দির কমপ্লেক্সের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন। ঐতিহাসিক এই মন্দিরটি ৫১টি শক্তিপীঠের একটি এবং এটি প্রসাদ প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মিত হচ্ছে।

উপর থেকে কচ্ছপের আকৃতি মনে করানো এই প্রকল্পে থাকছে মন্দির চত্বরের আধুনিকায়ন, নতুন প্রবেশপথ, পথ নির্মাণ, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সুরক্ষা প্রাচীর। পাশাপাশি নির্মিত হবে তিনতলা বিশিষ্ট একটি কমপ্লেক্স, যাতে থাকবে স্টল, ধ্যান কক্ষ, অতিথি আবাস, অফিস কক্ষ প্রভৃতি সুবিধা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ত্রিপুরার পর্যটন, কর্মসংস্থান, স্থানীয় ব্যবসা ও সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।