ইটানগর, ২১ সেপ্টেম্বর:মাদক বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে আয়োজিত “নমো যুবা রান” কর্মসূচিতে প্রায় ৭,০০০ যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেন। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দৌড়টি রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী চোনা মেইন আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন।
এই কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সারাদেশব্যাপী “নেশা মুক্ত ভারত অভিযান”-এর অংশ, যা একই দিনে দেশের ১০০টি শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।
এই দৌড়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা। আয়োজকরা জানান, “তরুণ সমাজের শক্তিকে ইতিবাচক পথে পরিচালিত করে একটি দৃঢ় ও সুসংগঠিত জাতি গঠনের উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন।”
উপ-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী কেন্টো জিনি, দাসাঙ্গলু পুল, রাজ্য বিজেপি সভাপতি কালিং মোয়ং, আলো পশ্চিমের বিধায়ক ও বিজেপির মুখপাত্র টোপিন এটে এবং ইটানগরের মেয়র টামে ফাসাং। হাজার হাজার বিজেপি কর্মীও এই দৌড়ে অংশ নেন, যা পুরো অনুষ্ঠানটিকে একটি বৃহৎ সামাজিক উদ্যোগে পরিণত করে।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক টোপিন এটে বলেন, “এই রান-এর মূল বার্তা ছিল একটাই—ড্রাগ ফ্রি অরুণাচল।” তিনি বলেন, তরুণ সমাজই দেশের ভবিষ্যৎ, আর তাই তাদের মাদকের মতো ধ্বংসাত্মক অভ্যাস থেকে দূরে রাখা একান্ত জরুরি।
এই উদ্যোগে অংশগ্রহণকারীরা শুধু দৌড়েই অংশ নেননি, তারা সামাজিক সচেতনতামূলক পোস্টার, ব্যানার ও স্লোগান দিয়েও মাদক বিরোধী বার্তাকে আরও শক্তিশালী করেছেন।
“নমো যুবা রান” কর্মসূচি অরুণাচল প্রদেশে মাদকের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী সামাজিক বার্তা প্রদান করেছে। রাজ্যের তরুণ সমাজের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, তারা একটি সুস্থ, শক্তিশালী এবং মাদকমুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখে এবং সেই লক্ষ্যেই তারা এগিয়ে যেতে চায়।
এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলতে থাকলে, অরুণাচল সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে মাদকবিরোধী আন্দোলন আরও মজবুত হবে, এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা।

