জাকির হোসেন, ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর: সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশ-সহ মোট ৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসা আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করল। ফলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের নাগরিকরা পর্যটন বা কর্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
স্থগিতাদেশের আওতায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে—আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা।
ভিসা সেবাদানকারী ওয়েবসাইট UAEVisaOnline-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আমিরাতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের একটি সার্কুলারের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আপাতত এই দেশগুলোর কোনও নতুন ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তবে যাঁদের বৈধ ভিসা রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ইউএই-তে অবস্থান করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়। তাঁরা আইনগতভাবে বসবাস ও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
যদিও ইউএই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও কারণ জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগ, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯–এর সতর্কতাই এর পেছনে মূল কারণ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিকে ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ বা ‘প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে না দেখে শুধু নতুন ভিসা আবেদন সাময়িক স্থগিত হিসেবেই দেখতে হবে।
UAEVisaOnline-এর তথ্যমতে, সাধারণত ভ্রমণ বা কাজের ভিসা বাতিলের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে—অবৈধ বা জাল ভিসা ব্যবহার, জাল পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকা, অপরাধমূলক রেকর্ড বা চলমান মামলা, অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং কোভিড-১৯ টেস্ট বা টিকা-সংক্রান্ত শর্ত পূরণ না করা।
ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে বাংলাদেশ-সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা আবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস বা UAEVisaOnline পোর্টালের মাধ্যমে পর্যটন ও কর্ম ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
২০২৬ সালের হালনাগাদ প্রবেশ শর্ত অনুযায়ী, ইউএই-তে প্রবেশের জন্য বিদেশি নাগরিকের বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ছ’মাস মেয়াদি এবং দু’টি খালি পৃষ্ঠা থাকা আবশ্যক), অনুমোদিত ভিসা, নেগেটিভ কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট, টিকা সনদ এবং ইউএই সরকারের স্বাস্থ্য ও কোয়ারেন্টিন বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক থাকবে।
ওয়েবসাইট সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নতুন করে মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

