নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রের ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ‘নেক্সট-জেন জিএসটি সংস্কার’-এর আওতায় ‘ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইন’-এ এবার থেকে জিএসটি-সংক্রান্ত অভিযোগও গ্রহণ করা হবে। এর জন্য ইনগ্রাম পোর্টালে একটি পৃথক জিএসটি বিভাগ চালু করা হয়েছে।
এই নতুন বিভাগে গাড়ি, ব্যাঙ্কিং, কনজিউমার ডিউরেবলস, ই-কমার্স, এফএমসিজি সহ একাধিক উপ-বিভাগ থাকবে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিবর্তিত জিএসটি হার, চার্জ ও ছাড় সংক্রান্ত অভিযোগ ও প্রশ্ন জমা দিতে পারবেন ভোক্তারা।
ভোক্তাদের আরও সহায়তা করতে, ১১ সেপ্টেম্বর সিবিআইসি-এর আধিকারিকরা এনসিএইচ কাউন্সেলরদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স সংস্থা, শিল্প সংস্থা ও কনজিউমার ডিউরেবল কোম্পানিগুলির সঙ্গে একটি পরামর্শ সভাও করেন ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের সচিব, যেখানে কর ছাড়ের সুবিধা সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
জিএসটি-সংক্রান্ত অভিযোগের তথ্য সিবিআইসি, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আরও মজবুত হবে এবং জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন গঠনে সহায়ক হবে।
প্রসঙ্গত, এনসিএইচ-এর টোল-ফ্রি নম্বর ১৯১৫ ও ওয়েবসাইট http://www.consumerhelpline.gov.in–এর মাধ্যমে ১৭টি ভাষায় অভিযোগ জানানো যায়। হেল্পলাইনে হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস, ইমেল, অ্যাপ ও ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ জমা দেওয়া যায়।
বর্তমানে প্রতি মাসে এক লক্ষেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়ে এনসিএইচ -এ, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে। ২০১৫ সালে যেখানে মাত্র ১২,৫৫৩টি কল আসত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১.৫৫ লক্ষ। অভিযোগ জমা পড়ার সংখ্যাও ২০১৭-র ৩৭,০৬২ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে হয়েছে ১.৭ লক্ষ।
ভোক্তাদের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা জিএসটি সংস্কারের সুবিধা সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে বলে আশা মন্ত্রকের।

