ক্যালিফোর্নিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত ভারতীয় যুবক, পরিবারের অভিযোগ বর্ণবৈষম্যের শিকার, পূর্ণ তদন্তের দাবি

হায়দরাবাদ/নয়াদিল্লি: আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় এক ভারতীয় যুবক পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে। নিহত যুবক মোহাম্মদ নিজামউদ্দিনের পরিবার অভিযোগ করেছে, তিনি বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তার মরদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তারা।

সান্তা ক্লারা পুলিশ বিভাগের বিবৃতি অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বর একটি ছুরি হামলার ৯১১ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাড়ির ভিতরে মোহাম্মদ নিজামউদ্দিনকে ছুরি হাতে তার রুমমেটকে মাটিতে চেপে ধরে রাখতে দেখা যায়, যিনি ইতিমধ্যেই আঘাতপ্রাপ্ত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, “সান্তা ক্লারা পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অভিযুক্তর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপর অভিযুক্তকে গুলি করা হয় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।”রুমমেটের চিকিৎসা চলছে, তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

অপরদিকে, নিজামউদ্দিনের পরিবার জানিয়েছে, ছুরি হামলার ঘটনার আগে নিজামউদ্দিন নিজেই পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য ফোন করেছিলেন। তারা দাবি করেন, বিষয়টি একতরফাভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং আসল সত্য আড়াল করা হচ্ছে। ঘটনার পরে, হাসনউদ্দিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে আবেদন করেন, যাতে তার ছেলের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ওয়াশিংটন ডিসি-তে ভারতীয় দূতাবাস এবং সান ফ্রান্সিসকো-তে ভারতীয় কনস্যুলেটের সাহায্য চাওয়া হয়।

পরিবারের মতে, মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। ফ্লোরিডার একটি কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি নেন এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানান্তরিত হন।

তিনি বলেন, “আজ সকালে জানতে পারি, সান্তা ক্লারা পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করেছে এবং তার মরদেহ একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা আমি জানি না।” পরিবারটি এখন সরকারের কাছে মরদেহ দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছে।