সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের, বলল ‘সারা বিশ্ব জানে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ’

নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে সে দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর সুস্পষ্ট যোগাযোগ নিয়ে ফের সরব হল ভারত। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাফ জানিয়ে দেন, “*বিশ্ব এখন সজাগ — পাকিস্তান রাষ্ট্র, তার সেনাবাহিনী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে যে গভীর যোগ আছে, তা আর লুকোনোর কিছু নেই।

নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, “সম্প্রতি যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তা আরও স্পষ্ট করে দেয় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী নীতির প্রকৃত চিত্র। তিনি এই মন্তব্য করেন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের ভিডিও প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে।

সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি মসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি স্বীকার করেছেন যে, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জেরে সংগঠনের মুখ্য ঘাঁটি মুরিদকেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই হামলায় জইশ প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার-এর পরিবার — স্ত্রী ও সন্তানসহ — মারা গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় ভিডিওতে।

কাশ্মীরি বলেন — এই সন্ত্রাসবাদ, যা আমরা আদর্শগত ও ভৌগোলিক কারণে নিজেদের হৃদয়ে স্থান দিয়েছি, তার জন্য আমরা কখনও দিল্লির সঙ্গে, কখনও কাবুল, আবার কখনও কন্ধাহারের সঙ্গে লড়েছি। ৭ মে মাসুদ আজহারের পরিবারের সবাই — নারী ও শিশুসহ — বাহাওয়ালপুরে নিহত হয়।

পাকিস্তান সরকার পরবর্তীতে স্বীকার করে যে, বাহাওয়ালপুর, কোটলি ও মুরিদকে-সহ মোট **৯টি স্থানে ভারতীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এই অঞ্চলগুলি বহুদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন — যেকোনও আন্তর্জাতিক ফোরামের নথিতে এখন স্পষ্ট ভাষায় লেখা থাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা। এমনকি সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদ -এর বিরুদ্ধেও সরাসরি উল্লেখ থাকে।

তিনি আরও জানান — আমরা বিশ্বের সব দেশের কাছে আহ্বান জানাই — সন্ত্রাসবাদের সমস্ত রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও জোরালো লড়াই গড়ে তোলার জন্য।