আগরতলা, ১৯ সেপ্টেম্বর: মায়ের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে গিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধাকে অমানবিক অবস্থায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল এক ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কমলাসাগর বিধানসভার পান্ডবপুর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে।
৭০ বছর বয়সী মীরা দেব গত বুধবার সেকেরকোট এলাকায় মেয়ে শিপ্রা দেবের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে গিয়ে গুরুতর পায়ে আঘাত পান। তারপর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। প্রয়াত স্বামী সুকরঞ্জন দেবের মৃত্যুর পর দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে মানুষ করেছেন মীরা দেব। সন্তানদের বিয়েও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আজ বার্ধক্যে এসে ছেলে দুলাল দেবের অবহেলায় অসহায় অবস্থায় পড়তে হয়েছে তাঁকে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিলভার ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দুলাল দেব মায়ের চিকিৎসার কোনও দায়িত্ব নেননি। এমনকি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও মায়ের কাছ থেকে আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। রেশন থেকে প্রাপ্ত চিনি ও জ্বালানি তেল পর্যন্ত দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি। ফলে জামাতা বিশ্বজিৎ দে অর্থাভাবে শাশুড়ির চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের কাছে কাতর বৃদ্ধা মীরা দেব বলেন,
“ছোটবেলায় যাকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছি, আজ সেই পেটের সন্তান আমাকে অবহেলা করছে। আমি বাধ্য হয়ে তাকে কুলাঙ্গার বলতে বাধ্য হচ্ছি। এমন সন্তান যেন আর এই পৃথিবীতে জন্ম না নেয়।”
গ্রামাঞ্চলে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সভ্য সমাজে দাঁড়িয়ে এমন অমানবিকতা কতটা সহনীয়? সমাজে কি তবে সন্তানরা গর্ভধারিণী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ ভুলে যাচ্ছে?
2025-09-19

