একই রাতের দুটি বিদ্যালয়ে দুঃসাহসিক চুরি

আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর : একই রাতে তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত দুইটি বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গতকাল গভীর রাতে তেলিয়ামুড়া ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এবং মোহরছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বিদ্যালয়গুলোতে সংঘটিত এই ধরনের অপরাধ স্থানীয়দের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক তৈরি করেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিক্রম দেবনাথ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মী প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয় খুলতে এলে প্রথমেই চুরির ঘটনার বিষয়টি নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষক এবং বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্যদের। যদিও এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে কী কী সামগ্রী চুরি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট—এটি পরিকল্পিতভাবেই সংঘটিত চুরি।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, চোরেরা সাধারণ সামগ্রী ফেলে রেখে বিদ্যালয়ের কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এবং ইন্টারনেট পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রাংশগুলো সরিয়ে নিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ায় শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধরনের অপরাধ বারবার ঘটলেও পুলিশের নৈশকালীন টহল কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি তুইচিন্দ্রাই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে একই ধরনের চুরির পর আবারও ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় ও মোহরছড়া বিদ্যালয়ে চুরি হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

শিক্ষাপ্রেমী মহলের দাবি, পুলিশ যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে রাত্রিকালীন টহল জোরদার করত, তবে এই ধরনের অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হতো। ফলে পুলিশের অবহেলা ও তহলদারীর ঘাটতি নিয়েই এখন সরব গোটা তেলিয়ামুড়া।

এখন দেখার বিষয়, তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ কি চুরির রহস্য উন্মোচন করতে পারে, নাকি ঘটনাটি অন্য আরও চাঞ্চল্যকর প্রশ্নের জন্ম দেবে।