নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে চন্দ্রপুরম পন্নুসামি রাধাকৃষ্ণন রাষ্ট্রপতি ভবনে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
তবে এই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উপস্থিতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কারণ জুলাই ২০২৫-এ আকস্মিক পদত্যাগের পর এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি।
ধনখড় স্বাস্থ্যজনিত কারণে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বলে সরকারি সূত্র জানায়। যদিও বিরোধী পক্ষ এই কারণ মানতে নারাজ, এবং দাবি করে যে ধনখড়কে “জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে”। এই নিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি।
পদত্যাগের পর ধনখড় একেবারেই জনসমক্ষে আসেননি, এমনকি কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি ছিল তাঁর সচেতন সিদ্ধান্ত।
নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে সিপি রাধাকৃষ্ণনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ধনখড়ের উপস্থিতি তাই রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাধাকৃষ্ণন, যিনি এনডিএ-র প্রার্থী ছিলেন, সেপ্টেম্বর ৯ তারিখের নির্বাচনে ৪৫২ ভোট পেয়ে বিপুলভাবে বিজয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী, বিরোধী প্রার্থী বি. সুধর্ষন রেড্ডি পান ৩০০ ভোট। রাধাকৃষ্ণন এর আগে কোয়েম্বাটুর থেকে দু’বারের বিজেপি সাংসদ এবং তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর রাজনীতিক জীবন শুরু হয় জনসংঘের হাত ধরে, যা পরে বিজেপিতে রূপান্তরিত হয়।
জগদীপ ধনখড় রাধাকৃষ্ণনের জয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক চিঠিতে লেখেন, “আপনার এই পদে উন্নীত হওয়া আমাদের জাতির প্রতিনিধিদের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন।”তিনি আরও লেখেন, “আপনার নেতৃত্বে এই অফিস আরও সম্মান ও মহিমা অর্জন করবে।”
উল্লেখ্য, ধনখড় ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যার ফলে এই নতুন নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু নতুন উপরাষ্ট্রপতির কার্যকাল শুরু নয়, ধনখড়ের নীরবতার অবসানও ঘটল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

