ডোডা জেলায় উত্তেজনা চরমে, আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিকের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ

শ্রীনগর, ১১ সেপ্টেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলা এবং তার সংলগ্ন কিছু এলাকায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। ডোডা কেন্দ্রের আপ (আম আদমি পার্টি) বিধায়ক মেহরাজ মালিককে কড়া পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট-এর আওতায় গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় হিংসাত্মক সংঘর্ষে।

গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ আজও অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ভদ্রওয়াহ শহরেও। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তারক্ষী আহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন দু’জন পুলিশ আধিকারিকও।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন ডোডা জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট ও ওয়াই-ফাই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে।

সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা বিধিনিষেধ অমান্য করে পথে নামেন, যাদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা বিক্ষোভকারীকে আটক করা হলেও, সন্ধ্যার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে জেলা জুড়ে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান (চিকিৎসা দোকান ব্যতীত) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ভদ্রওয়াহ, ডোডা, থাথরি এবং গান্দোহ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পুলিশ গাড়ি থেকে মাইকিং করে বারবার নাগরিকদের ঘরে থাকার ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সরকারি অফিসগুলির চত্বরে জমায়েত ঠেকাতে বহু স্থানে কাঁটাতার দিয়ে ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে।

অপরদিকে, আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিকের গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। তারা এই পদক্ষেপকে “গণতন্ত্র-বিরোধী” এবং “আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টার অংশ” বলে অভিহিত করেছে।

বর্তমানে গোটা অঞ্চল জুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে।