উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে বিজেডি, এনডিএ-কে ‘পরোক্ষ সমর্থন’ বলছে বিজেপি ও কংগ্রেস

ভুবনেশ্বর, ৮ সেপ্টেম্বর: ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশার প্রধান বিরোধী দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)। সোমবার দলীয় সাংসদদের ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় বিজেডি নেতৃত্ব। দলীয় সভাপতি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানানো হয়।

বিজেডি সাংসদ শস্মিত পাত্র সাংবাদিকদের বলেন, “দলের সভাপতি নবীন পট্টনায়েক সিনিয়র নেতা, রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বিজেডি সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন না।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় স্তরে এনডিএ ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট— উভয়ের থেকেই সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য রাজ্যের ৪.৫ কোটি মানুষের উন্নয়ন।”

উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর। বিজেডি-র এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়েছে। এনডিএ এবং কংগ্রেস — উভয় পক্ষই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরাম বিজেডি-র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বিজেডি-র ভোটবিমুখ সিদ্ধান্ত কার্যত এনডিএ প্রার্থীকেই সহায়তা করবে। নবীনবাবু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরোক্ষভাবে আমাদের প্রার্থীকেই সমর্থন জানিয়েছেন।” একই মত প্রকাশ করেছেন বিজেপির বরগড়ের সাংসদ প্রদীপ পুরোহিত। তিনি বলেন, “ওরা আমাদের প্রার্থীর বিরোধিতা করেনি, এটাও এক ধরনের সমর্থন।”

অন্যদিকে, ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ভক্তচরণ দাস বলেন, “ভোটদানে বিরত থাকা মানে বিজেপিকে সমর্থন করা। বিজেডি-র জন্য এটি ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার একটি সুযোগ, যা তারা হারাল।”

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালেও উপররাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেডি-র সাংসদরা ভোটদানে বিরত ছিলেন। দলটি জাতীয় রাজনীতিতে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার কৌশল দীর্ঘদিন ধরেই অনুসরণ করে আসছে।