নয়াদিল্লি/ওয়াশিংটন, ৬ সেপ্টেম্বর : ভারত–আমেরিকা সম্পর্কের টানাপোড়েন কাটিয়ে ফের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পথে এগোলো দুই দেশ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাব দিয়ে জানান, দুই দেশের বিশেষ সম্পর্কে চিন্তার কিছু নেই। ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সর্বদা “মোদীর বন্ধু” থাকবেন।
দুই শীর্ষ নেতার এই ইতিবাচক বার্তা কূটনৈতিক মহলে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এখন সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি গঠনের আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। ট্রাম্পও সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানান, “ভারতকে আমরা চীনের কাছে হারাইনি। আমার সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক খুবই ভালো। কয়েক মাস আগেই আমরা ওয়াশিংটনের রোজ গার্ডেনে একসঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করেছি।”
ওয়াশিংটনের সমালোচনামূলক সুরও নরম হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি মোদী ও ট্রাম্প শিগগিরই ফোনে সরাসরি কথা বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
১৭ জুন ফোনালাপের পর এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ মোদী লিখেছিলেন, “ভারত–আমেরিকার সম্পর্কের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইতিবাচক মূল্যায়নের জন্য কৃতজ্ঞ। আমাদের মধ্যে একটি অগ্রগামী ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, ভারত চীনের দিকে ঝুঁকছে না। বরং স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখেই বেইজিং ও মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য—ওয়াশিংটনকে বোঝানো যে ভারত ও আমেরিকা দুই প্রাকৃতিক মিত্র, এবং তাদের সম্পর্ক বৈশ্বিক স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি এক শীর্ষ ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমেরিকা সফরে গিয়ে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বার্তা স্পষ্ট—বাণিজ্য নিয়ে মতবিরোধ সাময়িক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের মতোই শক্তিশালী থাকবে।

