মুম্বই, ৬ সেপ্টেম্বর : দেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ মাদক জব্দের ঘটনায় মীরা-ভায়ান্দর, ভাইরাস-ভিরার পুলিশের অ্যান্টি-নারকোটিক্স সেল ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ তেলেঙ্গানায় একটি বিশাল মাদক কার্টেল ভেঙে দিয়েছে। হায়দরাবাদের চেরলাপল্লি শিল্পাঞ্চলের একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার মেফেড্রোন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াঘদেবী ল্যাবস নামের ওই রাসায়নিক কারখানাটি বাইরে থেকে বৈধ শিল্প প্রতিষ্ঠান মনে হলেও, ভিতরে চলছিল বিপুল পরিমাণ মাদক উৎপাদন। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে আধুনিক রাসায়নিক যন্ত্রপাতি, মাদক তৈরির ইউনিট এবং প্রায় ৩২,০০০ লিটার কেমিক্যাল কাঁচামাল।
প্রাথমিকভাবে ১০০ গ্রাম এমডি এবং ২৫ লক্ষ টাকা নগদ সহ এক বিদেশি নাগরিক-সহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জেরা করেই পুলিশের কাছে গোটা আন্তঃরাজ্য নেটওয়ার্কের সূত্র মেলে। ঝুঁকিপূর্ণ গোপন অভিযানের মাধ্যমে পুলিশের লোকজন চক্রের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং শেষমেশ পুরো কারখানাটিই ধরাশায়ী হয়।
কারখানার মালিক ও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ শ্রীনিবাস ভালট্টি এবং তাঁর সহযোগী তানাজি পাটে-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১২ জন ধরা পড়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে আগের অভিযানে ধরা পড়া বিদেশি নাগরিকও।
এমবিভিভি পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, “এই অভিযান মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা মাদক সরবরাহ চক্রে বড় ধাক্কা দিল। কারখানা সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং অন্য রাজ্যে তাদের নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।”
উল্লেখ্য, মেফেড্রোন বা এমডি, যাকে সাধারণত “মিয়াও মিয়াও” বা “এম-ক্যাট” নামে চেনে, এটি এক ধরনের কৃত্রিম উত্তেজক মাদক। গত কয়েক বছরে দেশে এটিই সবচেয়ে বড় মাদক জব্দ বলে মনে করা হচ্ছে।

