মুম্বই, ৬ সেপ্টেম্বর : গণেশ বিসর্জনের আগেই আতঙ্ক ছড়াল মুম্বইয়ে। ট্রাফিক পুলিশের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপে এক বার্তায় দাবি করা হয়, শহরে ৩৪টি “হিউম্যান বোমা” এবং ৪০০ কেজি আরডিএক্স মজুত রয়েছে। বার্তায় আরও বলা হয়, ১৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে। হুমকি ঘিরে গোটা মুম্বইয়ে জারি হয় হাই অ্যালার্ট।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নোয়েডায় বসে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার রাতেই নোয়েডা থেকে গ্রেফতার হয় ৫১ বছরের অশ্বিনী কুমার। বিহারের পাটলিপুত্রের বাসিন্দা অশ্বিনী পেশায় ছিলেন জ্যোতিষী। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি নোয়েডায় বসবাস করছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, একাধিক সিম কার্ড, মেমোরি কার্ডসহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অশ্বিনী তার পুরনো বন্ধু ফিরোজের সঙ্গে শত্রুতা মেটাতেই এই বোমা হুমকি পাঠান। ২০২৩ সালে ফিরোজের দায়ের করা এক মামলায় অশ্বিনীকে তিন মাস জেল খাটতে হয়েছিল। প্রতিশোধ নিতে তিনি ফিরোজের নামে মুম্বই ট্রাফিক পুলিশকে হোয়াটসঅ্যাপে ওই বার্তা পাঠান।
এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “হুমকি বার্তায় যে সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছিল, সেটি ছিল ‘লস্কর-ই-জিহাদি’। তবে তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে, আসল উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানো।”
অশ্বিনীকে ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে আনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

