বিশেষ ড্রোনের সাহায্যে রাজ্যের সমস্ত জেলার রোগাক্রান্ত রাবার গাছে ঔষধ স্প্রে শুরু করল ত্রিপুরা রাবার বোর্ড

আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাবার চাষীদের মুখে হাসি ফোটাতে শুরু করল ত্রিপুরা রাবার বোর্ড। জানা গেছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ফাঙ্গাসজনিত কারণে রাবার গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে গাছের পাতা অকালে ঝরে পড়ছে, যার ফলে রাবার চাষীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

রাবার গাছে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রাবার রস সংগ্রহ করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল চাষীরা, পাশাপাশি অনেক রাবার গাছ মারাও গেছে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি রাবার চাষী এবং রাবার সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় রাবার বোর্ডে। পরে রাবার বোর্ডের পক্ষ থেকে রাবার বাগান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেখা যায়, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে রাবার গাছের পাতায় ফাঙ্গাস আক্রান্ত হয়ে একটি নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে যার ফলে রাবার গাছের পাতা অকালে ঝরে পড়ছে।

পরে রাবার বোর্ডের তরফ থেকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে রাবার বোর্ডের তরফ থেকে তামিলনাড়ু থেকে প্রতিষেধক ঔষধ সহ ঔষধ স্প্রে করার বিশেষ ড্রোন এবং ড্রোন পরিচালককে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়।

পরে এই প্রতিষেধক ঔষধ এবং ড্রোন পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বিশালগড় মহকুমার পূর্ব চাম্পামুড়া আরপিএস সংলগ্ন আক্রান্ত রাবার গাছে সরকারিভাবে রাবার বোর্ডের তরফ থেকে বিশেষ ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিষেধক ঔষধ স্প্রে করার কাজ শুরু করে। তবে ত্রিপুরায় এই প্রথম ড্রোনের সাহায্যে গাছে প্রতিষেধক ঔষধ স্প্রে করার কাজ শুরু করল ত্রিপুরা রাবার বোর্ড।

আজ থেকে প্রায় প্রতিদিনই এই বিশেষ ড্রোনের সাহায্যে আক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত জেলার রাবার গাছে ঔষধ স্প্রে করা হবে আর এতেই আক্রান্ত রাবার গাছগুলি এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তড়িঘড়ি ত্রিপুরা রাবার বোর্ডের এই বিশেষ উদ্যোগের ফলে আতঙ্কিত রাবার চাষীদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে।