বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ‘বিশ্বাসের অভাব’: সুপ্রিম কোর্ট, রাজনৈতিক দলগুলিকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ

নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর: ভোটমুখী বিহারে ভোটার তালিকার সার নিয়ে চলা বিভ্রান্তির পেছনে মূল সমস্যা হল “বিশ্বাসের অভাব” — মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত রাজনৈতিক দলগুলিকে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

বিহারের একাধিক রাজনৈতিক নেতা ১ সেপ্টেম্বর সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, যাতে ভোটার তালিকা নিয়ে দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের সময় বাড়ানো যায়। এই আবেদনগুলির শুনানিতে অংশ নেন ন্যায়পাল সূর্যকান্ত ও জয়মাল্য বাগচী।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাকেশ দ্বিবেদ জানান, ১ সেপ্টেম্বর সময়সীমা পার হলেও দাবি ও আপত্তি জমা দেওয়া যাবে এবং তা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেও বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আপত্তি দিচ্ছে, যা অস্বাভাবিক। “এই প্রক্রিয়া হল নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি জানানো. বাদ দেওয়ার জন্য নয়,” — বলেন তিনি।

বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, “এই পুরো বিষয়টিই একটি ‘বিশ্বাসের ঘাটতির’ সমস্যা। রাজনৈতিক দলগুলি যদি আরও সক্রিয় হয়, তাহলে এই বিভ্রান্তির অবসান ঘটতে পারে।” তিনি আরও বলেন, এই গ্যাপ দূর করতে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে প্যারা-লিগ্যাল স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করা যেতে পারে, যারা ভোটার এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে অনলাইন আবেদনপত্র জমা দিতে সাহায্য করবেন।

বিহার লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে সমস্ত জেলায় প্যারা-লিগ্যাল ভলান্টিয়ার নিয়োগের নির্দেশ জারি করা হয় এবং তাঁদের নাম ও মোবাইল নম্বর প্রকাশ করা হয়

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিহার লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্যারা-লিগ্যাল ভলান্টিয়ার নিয়োগ করতে, এসব স্বেচ্ছাসেবকরা ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে দাবি ও আপত্তি নথিভুক্ত করতে সহায়তা করবেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাখার উপর জোর দিয়েছে আদালত।

বিহারে আগামী নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে বিশেষ উদ্যোগে। এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক দল ভুয়ো ভোটার ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। ফলে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা এবং সংশয় তৈরি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেছে।