আগরতলা, ২৮ আগস্ট : প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটল কুমারঘাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৭টা নাগাদ দেওহাট থেকে পুরাতন শিবথলি যাওয়ার মূল সড়কটি হঠাৎ করেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে মুহূর্তে গোটা এলাকার সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২৩ সালে দেও নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সড়কে প্রথম ফাটল দেখা দেয়। তখন থেকেই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু দপ্তরের উদাসীনতার কারণে কোনো স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বছর কিছুটা সংস্কারের কাজ হলেও তা ছিলো নিম্নমানের। এর জেরেই মাত্র এক বছরের মধ্যেই ফের নদীগর্ভে চলে গেল এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
ফলত, বর্তমানে ওই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ২০০ পরিবারের প্রায় ৬০০-এরও বেশি মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিদ্যালয়গামী ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে কর্মজীবী মানুষ, সকলে বিকল্প পথে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে শুধু যাতায়াত নয়, জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ রোগীদেরও মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাস্তা সংলগ্ন দেও নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অধীনে থাকলেও সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কুমারঘাট পিডব্লিউডি দপ্তরের। ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে দ্রুত মেরামতির আশ্বাস ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে বিকল্প রাস্তা নির্মাণসহ স্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু করতে হবে। না হলে আগামী বর্ষা মরশুমে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।

