প্রসঙ্গ সার : বিরোধীরা জেগে ঘুমায়, তাঁদের ঘুম ভাঙ্গানো অসম্ভব, কটাক্ষ বিপ্লবের

আগরতলা, ২৮ আগস্ট : সদ্য সমাপ্ত সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন থেকে ফিরে রাজ্যে এসেই বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। কারণ, এবারও বিরোধীরা একাধিক ইস্যুতে সংসদের উভয় কক্ষ কার্যত অচল করে রেখেছিলেন। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যে বিপ্লবের কটাক্ষ, বিরোধীরা জেগে ঘুমায়, তাঁদের ঘুম ভাঙ্গানো অসম্ভব। মূলত, বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন এবং ৩০ দিন জেলে গেলেই মন্ত্রীত্ব খোয়ানোর বিল বিরোধীরা সংসদে তুমুল হৈ হট্টগোল করেছেন। তাঁরই জবাবে বিপ্লবের বিদ্রুপ রাজনৈতিক মহলে নতুন চর্চার বিষয় হয়েছে।

পাশাপাশি এদিন তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিহারের সাধারণ নাগরিক পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরই আস্থা রাখবেন। কারণ, গতকাল রাহুল ও তেজস্বীর রেলিতে তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিনের উপস্থিতি তাঁদের রাজনৈতিক দেওলিয়াপনার পরিচয় দিয়েছে।

বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ এবং বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে দেশ জুড়ে বিরোধীরা বাজার গরম করে রেখেছেন। তাঁর আঁচ সংসদ অধিবেশনেও পড়েছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন, নির্বাচন কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা সংসদে আলোচনা চাইছেন। তিনি বিদ্রুপের সুরে বলেন, স্বশাসিত সংস্থার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জবাব দেবেন, সেই সহজ প্রশ্নই বিরোধীরা বুঝতে চাইছেন না। সাথে তিনি যোগ করেন, নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের প্রতিনিধি দলকে আলোচনার জন্য ডেকেছিল। তাঁরা সেখানে যাওয়ার বদলে দিল্লির রাজপথে আন্দোলনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, দুই পা হাটতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁরাই জনগণের জন্য লড়াইয়ের হুঙ্কার দেন।

বিপ্লবের কথায়, বিরোধীদের কাছে ইস্যু নেই, তাই অযথা সংসদ অধিবেশন অচল করে রাখার ফন্দি করেছিলেন। অবশ্য, তাতে তাঁরা বিশেষ সফল হতে পারেননি। কারণ, বিরোধীদের হৈ হট্টগোলের মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকার জনস্বার্থে উত্থাপিত বিল পাস করিয়েছে। তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীরা আলোচনা চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তীক্ষ্ণ জবাব তাঁদের শরীরে সিঁদুর মেখে দিয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, বিরোধীরা জেগে ঘুমায়, তাই তাঁদের ঘুম ভাঙ্গানো সম্ভব নয়।

এদিন তিনি বিহার নির্বাচন নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিহার রাজনীতির মুক্তাঞ্চল হিসেবেই সারা দেশে পরিচিত। জগজীবন রাম-দের মতো মহান নেতৃত্বে বিহারের পুণ্যভূমি থেকেই এসেছেন। জরুরী অবস্থার সময় তাঁর নেতৃত্বেই কঠোর আন্দোলন সম্ভব হয়েছে। সেই বিহারের জনগণের অপমান করেছেন রাহুল-তেজস্বীরা। তিনি ঊষ্মা প্রকাশ করে বলেন, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিন বিহারীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর জন্য তিনি কোনভাবেই অনুতপ্ত নন। বরং গতকাল রাহুল-তেজস্বীদের সাথে মিছিলে সামিল হয়েছেন তিনি।

বিপ্লব তোপ দেগে বলেন, স্ট্যালিনকে মাঝখানে রেখে রাহুল ও তেজস্বী মিছিলে অংশ নিয়ে বিহারের জনগণের মান সন্মান ডুবিয়েছেন। তার পরিণাম ভোটের ফলাফলে নিশ্চিত প্রতিফলিত হবে। তাঁর সাফ কথা, গতকাল রেলিতে স্ট্যালিনের অংশগ্রহণ রাহুল ও তেজস্বীর রাজনৈতিক দেওলিয়াপনার পরিচয় দিয়েছে। সাথে তিনি জোর গলায় দাবি করেন, বিহারের জনগণের আস্থা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ফের তা প্রমাণিত হবে।