তেলিয়ামুড়া মহকুমার দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগকে ঘিরে উঠেছে নতুন অভিযোগ ,এবার অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ

আগরতলা, ২৭ আগস্ট : সরকারি আইন অমান্য করে এবং বয়স সীমাকে উপেক্ষা করে ‘মুখ চেনা’র ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক দের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো ছেলে-মেয়ে প্রশিক্ষণ বা নিয়োগে অংশ নিতে পারে না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কিছু নাবালক-নাবালিকাকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর তেলিয়ামুড়ার সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক বিবেক ভট্টাচার্য ও সুমন দেবনাথের বিরুদ্ধে। যাঁরা নাকি নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে বয়সসীমা না থাকা সত্ত্বেও প্রশিক্ষণে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রয়োজনীয় বয়সসীমা পূর্ণ করেও অনেক ছেলে-মেয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না থাকার কারণে প্রশিক্ষণ থেকে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মহকুমায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্কের জেরে ২৬ আগস্ট প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনেই ১৮ বছরের নিচে থাকা অংশগ্রহণকারীদের হঠাৎ করে বের করে দেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক কার্যালয়ে।

এখন প্রশ্ন উঠছে—যেখানে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর বয়স প্রমাণপত্র যাচাই বাধ্যতামূলক, সেখানে কীভাবে ১৮ বছরের নিচে থাকা ছেলেমেয়েরা প্রশিক্ষণে যোগ দিতে পারল? প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই হয়নি, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে—এই নিয়েই উঠছে জোর সন্দেহ।

শুভবুদ্ধি মহলের আশঙ্কা, এভাবে অপরিণত বয়সে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে বাস্তবে দুর্যোগের সময় প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো সম্ভব হবে না। এর ফলেই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা দিতে গিয়ে ব্যর্থতার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সম্প্রতি চাকমাঘাটে লরি চালক মিহিরের মৃত্যুকেও অনেকে এই ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করছেন।

এখন দেখার বিষয় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন গোটা ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না, নাকি দুর্নীতির অভিযোগ শেষ পর্যন্ত চাপা পড়েই যায়।