বিভিন্ন রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস, একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি, স্কুল বন্ধ ঘোষণা

নয়াদিল্লি, ২৬ আগস্ট:ভারতের আবহাওয়া দফতর আজ দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, ওড়িশা, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের কিছু বিচ্ছিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এছাড়াও আগামী ২-৩ দিনে কেরালা, মাহে, কোকণ, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

আজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, বিহার, গুজরাট, কর্ণাটকের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল, মুজাফফরাবাদ, ঝাড়খণ্ড, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং তেলেঙ্গানায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আইএমডি।

পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের একাধিক জেলায় টানা বৃষ্টির ফলে রাবি, বিয়াস ও শতদ্রু নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাঞ্জাবের ফাজিলকা, গুরুদাসপুর, হোশিয়ারপুর, কপুরথলা ও ফিরোজপুর জেলার একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফাজিলকা ও গুরুদাসপুর জেলা প্রশাসন হাই অ্যালার্ট জারি করেছে এবং ২০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

ফাজিলকা প্রশাসন লাউডস্পিকারের মাধ্যমে মহিলাদের, শিশুদের ও প্রবীণদের সীমান্তবর্তী পাঁচটি ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরের অনুরোধ জানিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে।

কপুরথলার সুলতানপুর লোধিতে বিয়াস নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ২০টিরও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হোশিয়ারপুরের মুকেরিয়ান সাবডিভিশনের একাধিক গ্রামে বন্যার জল প্রবেশ করেছে।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় আজ ফাজিলকা, জলন্ধর, কপুরথলা, পাঠানকোট ও গুরুদাসপুর জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে আইএমডি আজ ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে।

এদিকে, হিমাচল প্রদেশেও টানা বর্ষণে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের সমতল অঞ্চলগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং নদী-নালাগুলি প্লাবিত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর আজ কাংড়া ও চাম্বা জেলার জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ এবং অন্যান্য কিছু অঞ্চলের জন্য ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করেছে।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ কাংড়া, চাম্বা, শিমলা, হামিরপুর, সোলান, মান্ডি এবং কুল্লুর বানজার, আনি ও কুল্লু সাব-ডিভিশনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিমলা আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে বৃষ্টিপাতের এই ধারা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলতে পারে।

জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গতকাল রাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। জম্মু, রেয়াসি, উদমপুর, সাম্বা, কাঠুয়া ও রাজৌরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পুঞ্চ, রামবান, ডোডা, কিশ্তোয়ার এবং কাশ্মীর উপত্যকার কিছু এলাকাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে জম্মু বিভাগের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল আজ দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রাখা হয়েছে।