আগরতলা, ২৫ আগস্ট : আজ এক সাড়া জাগানো রায় ঘোষণা করলো ধর্মনগরের বিশেষ আদালত। নাবালিকা ধর্ষণে সাহায্যকারী নির্যাতিতার মা এবং বড় বোনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল ধর্মনগরের বিশেষ আদালত। আর মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০০০০ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা দিয়েছে। তাছাড়া, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক অংশুমান দের্ববমা।
এদিন সরকারি আইনজীবী সুদর্শন শর্মা জানিয়েছেন, আজ ধর্মনগর বিশেষ আদালতের বিচারক অংশুমান দের্ববমা এক ন্যাক্কারজনক ঘটনার রায় ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২০২০ সালে ধর্মনগর নয়াপাড়ার বাসিন্দা মানিক পালের বাড়িতে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মা এবং তাঁর দুই মেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বাড়িতে সমীর নাহা নামে এক যুবকের যাতায়াত ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, সমীর নাহা প্রায়ই নির্যাতিতার বড় বোনের সাথে মদ্যপান করতেন। একদিন রাতে মদ্যপান করে ছোট বোনকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে নাবালিকা এই বিষয়টি তাঁর মা ও বড় বোনকে জানিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা নাবালিকাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল। তারপর ও একাধিকবার ওই অভিযুক্ত সমীর নাহা তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা এই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে জেল রোডেস্থিত এক বাড়িতে গেলে সেখানেও সমীর নাহা হাজির হন এবং নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে চাইল্ড প্রটেকশনের সহযোগিতায় ২০২১ সালে ৩ এপ্রিল ধর্মনগর মহিলা থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নাবালিকা।
তিনি আরও বলেন, মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তী সময়ে মহিলা থানার পুলিশ আধিকারিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে আদালত আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করে। ৩৭৬(২) আইপিসি ধারায় আসামী সমীর নাহাকে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০০০ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা দিয়েছে। তাছাড়া, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি, নাবালিকা ধর্ষণে সাহায্যকারী নির্যাতিতার মা এবং বড় বোনের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলো ধর্মনগরের বিশেষ আদালত।

